ঋদি হক, ঢাকা: ভারতের দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় প্রভৃতি রাজ্যের পাশাপাশি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ কাঁপাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে। আর তারই প্রেক্ষিতে ১৪ দিনের জন্য ভারতের সঙ্গে সীমান্ত-পথ বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। এই খবর দিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, সীমান্ত বন্ধকালে দু’দেশের বাণিজ্য সচল থাকবে।
বিদেশমন্ত্রকের সচিবের সভাপতিত্বে রবিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে সোমবার ভোর ছ’টা থেকে ১৪ দিনের জন্য দু’দেশের সীমান্ত-পথ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানি চালু থাকবে। ভারতে করোনার অতিমারি যাতে বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়তে পারে, তার জন্যই সরকারের তরফে স্থলসীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বারে ভারতে করোনার যে নয়া ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে বিজ্ঞানীরা তার নাম দিয়েছেন, ‘বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট’। এটি মূলত পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এবং এই ভ্যারিয়েন্ট আগের ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে তিন গুণ শক্তিশালী। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দিন ধরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করার দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। যুক্তরাষ্ট্র-সহ বেশ কিছু দেশ ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সফর বাতিল করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ভিসা-উত্তীর্ণ বাংলাদেশিদের জন্য ব্যবস্থা
চিকিত্সা ও ব্যবসার কাজে ভারতে গিয়ে হাজার দু’য়েক বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ১৫০০ রোগী এবং ৫০০-এরও বেশি ব্যবসায়ী রয়েছেন। আটকে পড়া কোনো বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও দূতাবাসের অনুমতি নিয়ে ফিরতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের হাই-কমিশনার জানিয়েছেন, দু’হাজারের মতো বাংলাদেশি ভারতে অবস্থান করছেন। সংখ্যাটা ঠিক কত, এখনই সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়। আটকে পড়াদের মধ্যে বহু রোগীও রয়েছেন। রবিবার ভারতে সরকারি ছুটি। যাঁরা ভারতে আছেন তাঁরা দু’ সপ্তাহের জন্য ফিরতে পারবেন না। যাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ, তাঁদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে তাঁরা ফিরতে পারবেন।