শ্যালককে খুনের অভিযোগ উঠল ভগ্নীপতির বিরুদ্ধে। অপরাধের দোসর ব্যবসার পার্টনারও। পুলিশের জেরায় উঠে এল এই তথ্য। ২২ লক্ষ টাকা নিয়ে কলকাতায় আসছিল বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা মহম্মদ খালিদ আনোয়ার ওরফে জুগনু। উদ্দেশ্য প্রেমিকার জন্য কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট কেনা। সঙ্গী হয়েছিল বিশ্বস্ত দু’জন। একজন ভগ্নীপতি। অপরজন ব্যবসার দীর্ঘদিনের পার্টনার। পরকীয়ার মোহে পড়ে মোটা টাকা সঙ্গে রাখাই কাল হল। ভগ্নীপতি ও ব্যবসার পার্টনারের হাতেই খুন হতে হল মহম্মদ খালিদ আনোয়ার ওরফে জুগনুকে। ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সাইদুর রহমান এবং মহম্মদ পারভেজকে বৃহস্পতিবার নিজেদের হেফাজতে নেয় আউশগ্রাম থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে জানা গেছে ২২ লক্ষ টাকার জন্যই মাঝপথে জুগনুকে খুন করেছে তারা। আউশগ্রামের বড়াগ্রামের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে গত পয়লা জুন মহম্মদ খালিদ আনোয়ার ওরফে জুগনুর দেহ উদ্ধার হয়। দু’সপ্তাহের মধ্যেই খুনের কিনারা করে ফেলে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় সাইদুর রহমান ও মহম্মদ পারভেজকে। এদের মধ্যে সাইদুর রহমান হল নিহত ব্যক্তির ভগ্নীপতি। পারভেজ জুগনুর ব্যবসার পার্টনার। যে গাড়িটি করে তিনজন কলকাতা যাচ্ছিল সেই গাড়িটি পারভেজের নামে রেজিস্ট্রেশন হলেও তার মালিক পারভেজ ও জুগনু দু’জনেই বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার হেফাজতে নেওয়ার পর ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ওই গাড়ি করে সেদিন তারা সমস্তিপুরের বিথান থেকে কলকাতার দিকে রওনা হয়। সম্প্রতি জুগনু পরকীয়ায় জড়িয়েছিল। তা নিয়ে পারিবারিক অশান্তি হওয়ায় জুগনু ঠিক করেছিল তার প্রেমিকার জন্য কলকাতার একটি ফ্ল্যাট কিনবে। সেখানেই প্রেমিকার সঙ্গে নিরিবিলিতে কাটানোর পরিকল্পনা ছিল তার। ভুট্টা কেনাবেচার ব্যবসা ছিল জুগনু ও পারভেজের। এজন্য বেশকিছু টাকা বাজার থেকে তুলেছিল জুগনু। সেই টাকায় কলকাতায় ফ্ল্যাট কিনতেই যাচ্ছিল। সঙ্গে ছিল সাহিদুর ও পারভেজ। গুসকরায় গিয়ে হোটেলে খাওয়া দাওয়া মদ্যপান করে বর্ধমানের দিকে রওনা দেওয়ার সময় মাঝপথেই তাকে খুন হতে হয়। ওই ২২ লক্ষ টাকার জন্যই সাহিদুর ও পারভেজ দু’জনে মিলে তাকে খুন করে বলে পুলিশের জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা। নিহত মহম্মদ খালিদ আনোয়ারও পুলিশের খাতায় একজন দুষ্কৃতী বলেই চিহ্নিত। পুলিশ জানতে পেরেছে গাঁজা ও অস্ত্র পাচারে জড়িত ছিল সে।