ক্রীড়া ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার ফুটবল টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের লাহোর থেকে এই টুর্নামেন্ট যাত্রা শুরু হয়েছিল সার্ক (সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব রিজিওনাল কো-অপারেশন) গোল্ডকাপ নামে। পরে নাম বদলে হয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ৩২ বছর আগে শুরু হওয়া দক্ষিণ এশিয়ার এই ফুটবল টুর্নামেন্টের ফরম্যাট বদলে দিতে যাচ্ছে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ)।
বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুতে হওয়া সাফের সভায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এক ভেন্যুর বদলে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও এই সভায় সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হয়নি।
সাফের সব সদস্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সভার পর জানিয়েছেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সময় নির্ধারণ আছে আগামী ১৫ জুন থেকে ৫ জুলাই। এখন সাফ সদস্য দেশগুলোর সাথে সভায় নেওয়া নীতিগত সিদ্ধান্ত চিঠি দিয়ে জানাবে। দেশগুলো রাজি হলে নতুন ফরম্যাট হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্ট হবে। রাজি না হলে আগের মতো এক ভেন্যুতে হবে।
যদি শেষ পর্যন্ত হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতেই টুর্নামেন্ট হয়, তাহলে অতিথি দল থাকবে না সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। সেন্ট্রাল ভেন্যুতে হলে অতিথি দলের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সাফ।
সভায় ২০২৬ সাল থেকে প্রতি বছর সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৮ দল নিয়ে হবে নতুন এই টুর্নামেন্ট। র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা দেশের দুটি ক্লাব খেলবে। বাকি ৬ দেশের ৬ ক্লাব। দুই গ্রুপে খেলা হবে।