বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক: ৫ মে (২০১৩) হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মধ্যরাতে নৃশংস হামলার খলনায়ক ছিলেন ৩ জন। এই ৩ জনকেই শেখ হাসিনার সরকার পরবর্তীতে পুরস্কৃত করেছিল। তারা হলেন, বিজিবি’র সাবেক মহাপরিচালক ও পরবর্তীতে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ, ঢাকা মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার, পরবর্তীতে র্যাবের মহাপরিচালক ও বর্তমানে পুলিশের আইজি বেনজির আহমদ এবং র্যাবের সাবেক ডাইরেক্টর অপারেশন্স ও বর্তমানে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টারের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জিয়াউল আহসান।
এই ৩ জনের নেতৃত্বেই শাপলা চত্বরে গণহত্যার মূল অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। ইতোমধ্যে চাকুরির বয়স শেষ হওয়ায় জেনারেল আজিজ অবসরে গেছেন। সেনাপ্রধানের চাকুরিতে থাকা কালীন তাঁর আপন ভাই ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেপকে কারাগার থেকে মুক্ত করিয়েছেন রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার সাংবিধানিক এখতিয়ারের অপব্যবহারের মাধ্যমে। আইনের বাইরে গিয়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আরেক ভাই হারিছকে পলাতক অবস্থায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমার এখতিয়ারের অপব্যহারের মাধ্যমে দণ্ড মওকুপ করা হয়েছে। যদিও দণ্ড মওকুপের আইনি প্রক্রিয়া হচ্ছে পলাতক আসামীকে আইনের আওতায় এসে আত্মসমর্পন করে কারাগারে যেতে হয়। কিন্তু আইনের এই বিধানের ব্যতয় ঘটিয়ে পলাতক অবস্থায়ই রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ক্ষমার এখতিয়ারের অপব্যবহার করেছেন।
বেনজির আহমদ পুলিশের আইজি হিসাবে বর্তমান কর্মরত। মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আমেরিকা ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেনজির আহমদসহ র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭জনের বিরুদ্ধে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জিয়াউল আহসানকে র্যাব থেকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নিয়ে পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ হচ্ছে, টেলিফোনে আড়িপাতা থেকে শুরু করে মানুষের ফোন ও ই-মেইলসহ যাবতীয় ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মনিটরিং করা। উৎসঃ আমার দেশ