লণ্ডন, যুক্তরাজ্য: একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম ইউকের উদ্যোগে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে গত ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, উপদেষ্টা মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আনছার আহমেদ উল্লাহ, সিকদার মোহাম্মদ কিটন, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে ব্রিটিশ সরকারের কাছে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ও তাদের দোসর আলবদর রাজাকার দ্বারা সংঘটিত নিরীহ বাঙালীদের উপর নির্বিচারে গণহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯৫ জন পাকিস্তানী সৈনিকের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার ও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জোর দাবী জানান। একাত্তরে ধর্মের নামে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রকৃত পক্ষে ৩০ লাখ শহীদ আর দুই লক্ষ মা বোনের আত্মমর্যাদা ও আত্মদানের স্বীকৃতি। মৌলবাদী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরারীদের গণহত্যা অস্বীকারের অপচেষ্টা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ব্রিটিশ সরকার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম ইউকের নেতৃবৃন্দ।
স্মারক লিপিতে তারা আরও উল্লেখ করেন যে, ১৯৭২ সালে জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডনে আসলে বিট্রিশ সরকার যে ভূমিকা রেখেছিল বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সাথে তা চিরদিন স্মরণ করবে। লন্ডনের মাটিতে বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি সব সময়ই আলাদা তাৎপর্য বহন করে–কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহীত এক প্রস্তাবেই প্রথম বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ‘জেনোসাইড’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান ভূ-রাজনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধের কারণে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত এই ন্যক্কারজনক জেনোসাইড এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। যুগ যুগ ধরে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য প্রণোদিত রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক প্রচারণার কারণে একাত্তরের জেনোসাইডের শিকার লাখো নারী ও পুরুষ এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন পর্যন্ত এই জেনোসাইডের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি