চলতি বছরে সেভাবে পুজোর কেনাকাটা করা না হলেও মোটামুটি এখন থেকেই পুজোর আমেজ মেতেছেন সকলে। তবে এবার বাইরে কোথাও গিয়ে পুজোর ছুটি কাটানোর কোন সম্ভাবনা নেই। একে আর্থিক মন্দা অন্যদিকে করোনা, দুটি দিকেই জেরবার সাধারণ মানুষ। এমতাবস্থায় আগামী মাসের প্রথম তারিখ থেকে কলকাতায় চালু হচ্ছে হেরিটেজ ক্রুজ পরিষেবা।এই পরিষেবা পাওয়া যাবে লঞ্চে চড়ে কলকাতার ঐতিহাসিক ঘাট গুলি দেখাও এবং তাদের ঐতিহাসিক কথা শোনার সুযোগ। এই সম্পূর্ণ ভ্রমণের মূল্য মাত্র ৩৯ টাকা।
পূজার সময় যতই বাধা নিষেধ হোক না কেন, সাধারণ মানুষ সকলেই চায় একটু খোলামেলা আবহাওয়ায় বেরিয়ে পড়তে।তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই সবথেকে বড় কথা পকেটের কথা মাথায় রেখে গঙ্গাবক্ষে চালু হচ্ছে এমন একটি ভ্রমণের সুবিধা। লঞ্চ যাত্রা শুরু হবে এবং শেষ হবে মিলেনিয়াম পার্ক জেটিতে।যাত্রাপথে দেখতে পাওয়া যাবে সারদা মায়ের স্মৃতি বিজড়িত মায়ের ঘাট, ভূতনাথ এবং শ্মশান কালীর মন্দির সহ নিমতলা শ্মশান ঘাট, যেখানে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু,আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এবং সর্বোপরি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল।
এছাড়াও থাকবে ঐতিহাসিক আর্মেনিয়াম ঘাট, বিবাদীবাগ স্টেশন, স্ট্র্যান্ড রোড ঘাট, চাঁদপাড়া ঘাটের মতো আরও অনেক ঐতিহাসিক বিজড়িত স্থান। শুধুমাত্র ভ্রমণ নয়, এই ঘাট গুলির সঙ্গে যে ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে তা বলে দেবেন ট্যুর গাইড। সঙ্গে রয়েছে গঙ্গা রতি দেখার সুবর্ণ সুযোগ। সপ্তাহে সাত দিন ঘুরতে পারা যাবে এই ঐতিহাসিক ট্যুরে। সোমবার থেকে শুক্রবার দিনে দুবার লঞ্চের ব্যবস্থা রয়েছে। শনিবার এবং রবিবার চারবেলা ভ্রমণের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষভাবে ট্যুরের জন্য এই লঞ্চটিকে সাজানো হচ্ছে।যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য যাত্রা পথে চলবে রবীন্দ্র সংগীত।
টিকিটের মূল্যের সাথে পাবেন পানীয় জল এবং শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ। শুনে আনন্দ পাবেন সেলফি তুলতে ও কিন্তু অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না আপনার। ক্যাফেটেরিয়ার মনের মত খাবার অর্ডার করতে পারবেন যাত্রীরা, যদিও সে খরচ আলাদা। এই ভ্রমণের জন্য টিকিট পাওয়া যাবে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য পরিবহণ নিগমের এমডি রজনবির সিং জানান, সিঙ্গাপুর এবং লন্ডনের মত জায়গায় ভীষণ জনপ্রিয়। আমাদের কলকাতাতে যদি স্বল্প খরচে এইরকম আরও ক্রুজ রাইড চালু করা যায়, তাহলে অল্প খরচে এই পরিষেবাতে আরো অনেক ব্যক্তি ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন’।