কিটগুলির মূল্য এখনও ধার্য হয়নি। তবে বাজারমূল্য বিচার করেই দাম দেওয়া হবে জেলবন্দিদের, জানাচ্ছেন নবীনবাবু।
পাটনা: এই হাতেই প্রাণ নিয়েছেন ওঁরা, দু’হাতে রক্তের দাগ। এখন দু’হাত দিনরাত প্রাণ ফেরানোর লড়াইয়ে শামিল। বিহারের মতিহারি সেন্ট্রাল জেলের কয়েদিদের কেউ খুনের আসামী, কেউ বা অন্য কোনও ভয়াবহ অপরাধ করেছেন। তাই এই করোনার আবহেও মুক্তি মেলেনি। তবে মিলেছে কাজের বরাত। জেলের ভিতর বসেই করোনা-কর্মীদের জন্য পিপিই কিট বানাচ্ছেন ওঁরা। আর এভাবেই হাতে লাগা রক্তের দাগ ধুয়ে যাচ্ছে পল অনুপল।
খবরটা ছড়িয়ে পড়ে অল্প সময়ের মধ্যেই। খুশি হয়ে পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট নবীনচন্দ্র ঝা জেলার পুলিশের জন্য পিপিই কিটের বরাত দেন। জেলের ভিতর পিপিই কিট বানানোর সরঞ্জাম মজুত করারও ব্যবস্থা করেন। এখনও পর্যন্ত ৩২ টি সম্পূর্ণ পিপিই কিট বানিয়েছেন মতিহারি জেলের বাসিন্দারা।
সংবাদমাধ্যমকে নবীনচন্দ্র ঝা বলেন, “মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ওদের উৎসাহ অদম্য। আগেই গ্লাফস ও মাস্ক বানিয়েছিলেন ওঁরা। এখন পিপিই কিট বানানো শুরু করেছেন। পুলিশকর্মীদের মধ্যেই সেই কিট সরবরাহ করা হবে।
কিটগুলির মূল্য এখনও ধার্য হয়নি। তবে বাজারমূল্য বিচার করেই দাম দেওয়া হবে জেলবন্দিদের, জানাচ্ছেন নবীনবাবু।
দেশে হুহু করে বাড়ছে করোনা। এর মধ্যেও কাজ করতে হচ্ছে করোনা যোদ্ধাদের। বা়ড়ছে মাস্কের চাহিদা। সব দিক বিবেচনা করেই যারা সেলাইয়ের ট্রেনিং নিয়েছেন তাঁদের মাস্ক বানানোর বরাত দেন জেল কর্তৃপক্ষ। এরপর এক কয়েদিই একটি নমুনা পিপিই তৈরি করেন। তা দেখে খুশি হয়ে জেল কর্তৃপক্ষ পিপিই বানানোর বরাত দেয় তাঁদের। নিউজ১৮