শিরোনাম
বুধ. ডিসে ১০, ২০২৫

বড় স্যার পালাতে বলেছিলেন: আকবর

সিলেটের রায়হান আহমদ হত্যার প্রধান আসামি উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করেছে সিলেট জেলা পুলিশ। কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত এলাকা থেকে আকবরকে আটক করে স্থানীয় খাসিয়া সম্প্রদায়ের যুবকরা।

স্থানীয়রা যখন আকবরকে আটক করে হাত পা বাঁধছিল, তখন হাত পা না বাঁধার জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন এবং সে রায়হানকে মারেনি বলে জানায়। তাহলে কেন পালিয়ে যাওয়া হলো-স্থানীয়দের এমন প্রশ্নে আকবর জানায়, তার দুই সিনিয়র তাকে পালিয়ে যেতে বলেছে। দুমাস পর পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে ফিরে আসতেও পরামর্শ দেয়।

এদিকে, আকবরের আটক হওয়ার কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এসব ভিডিওর একটিতে আকবরকে বসিয়ে রেখে হাত-পা বাঁধছিলেন স্থানীয়রা। এ সময় আকবর বলছিল, ‘আমি ভাগমু না ভাই, আমি ভাগমু না।’ ভিডিওতে আকবরকে বলতে শোনা যায়, আমি মারি নাই, আমি হাসপাতালে নিয়া গেছি।’

অপর একটি ভিডিওতে আকবরকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি খুনি না, আমি মারিনি। ইচ্ছা করে মারিনি। আমি একা মারিনি, পাঁচ-ছয় জন তাকে মেরেছে। আমি তো হাসপাতালে নিয়া গেছি। সেখানে সে মারা গেছে।’ আকবরকে বলতে শোনা যায়, ‘সে (রায়হান) ছিনতাই করেছিল, তাকে পাবলিকে মারছে। আমি তো হাসপাতালে নিয়া গেছি।’

না মারলে তুমি কেন পালালে স্থানীয়রা এমন প্রশ্ন করলে আকবর বলে, ‘আমার দুই সিনিয়র আমাকে বলেছে, যেহেতু সাসপেনশন হয়েছো, আপাতত পালিয়ে যাও। দুই মাস পর ঠান্ডা হলে এসো। তখন বিষয়টা হ্যান্ডেল করা যাবে।’

পুলিশ হেফাজতে ১১ অক্টোবর নগরীর আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদ মারা যাওয়ার ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এসআই আকবরসহ চার জনকে সাময়িক বহিষ্কার এবং তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্তদের মধ্যে রয়েছেন–কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ ও টিটু দাস। প্রত্যাহার হওয়া তিন জন হলেন এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *