ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশিদের খুন হওয়ার পেছনে নিজ দেশের মানুষদেরকেই দুষলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠকে শেষে সংবাদ সম্মেলনে সীমান্তে হত্যার শিকার বাংলাদেশিদের দোষারোপ তিনি।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাববে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লোকজন ওখানে বর্ডারের ভেতরে ঢুকে অনেক ভেতরে যায় এবং বন্দুক নিয়ে যায় গোলাগুলিও হয়, বোমও নিয়ে যায়। এটা আসলে একতরফা কিন্তু দোষ না, আমাদেরও কিন্তু দোষ। কারণ আমাদের কিছু দুষ্টু ব্যবসায়ীরা, এরা ওখানে ইললিগ্যালি (বেআইনিভাবে) যায় এবং তাদের কাছে অস্ত্রও থাকে, তখন ওরা বাধ্য হয় ভয়ে, ওদের গুলি করে ফেলে।’
তিনি বলেন, ‘এ জন্য ওখানে (সীমান্তে) ক্রাইম, ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটি একটু কমাতে হবে। কমেছে, কিন্তু আরও কমাতে হবে। আমাদের দিক থেকেও যথেষ্ট অ্যাকশন নিতে হবে। কারণ এই লোকগুলোকে উস্কানি দেয়। ওখানে আবার লোকাল (স্থানীয়) কিছু লোকের সঙ্গে এগুলোর সম্পর্ক আছে।’
সীমান্ত হত্যার বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারতের দুই নেতার শীর্ষ সম্মেলেনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতাই একমত হয়েছেন যে, সীমান্তে বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি একটি উদ্বেগের বিষয় এবং সংশ্লিষ্ট সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে এ ধরনের ঘটনা শূন্যতে নামিয়ে আনা হয়। একইসঙ্গে বিডিআর এবং বিএসএফের সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের পূর্ণ বাস্তবায়নেও দুই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় যৌথ বিবৃতিতে।