সমীপ দাস, গুয়াহাটি: আসন্ন নির্বাচনে মদের ছড়াছড়ি, ধনবল, পেশীবলের অপব্যবহার প্রতিরোধে প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক নীতিন খাড়ে। সোমবার খানাপাড়ায় অসম প্রশাসনিক পদাধিকারী মহাবিদ্যালয়ে আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি বলবত্ হওয়ার পর রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের কী কী করণীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক।
নির্বাচনকে স্বচ্ছ, অবাধ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই), সিপিআই (এম), জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি)-র মতো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিততে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক নীতিব খাড়ে জানান, নির্বাচনে যে কোনও দলের একজন প্রার্থী সর্বাধিক ৩০,৮০.০০০ টাকা খরচ করতে পারবেন। ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রচার বন্ধ করা বাধ্যতামূলক জানিয়ে খাড়ে বলেন, বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রিন্ট এবং বৈদ্যুতিন, উভয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক বিনোদ সেশান এবং দেবপ্রসাদ মিশ্র। তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলির বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রে কমিশন কর্তৃক জারিকৃত দিকনির্দেশনাগুলি বিশেষ করে পেইড নিউজ সম্পর্কে কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য আবেদন জানান। অন্যথা আরপি আইন, ১৯৫১-এর ধারা ১২৭ (এ)-এর অধীনে অর্থদণ্ডের সম্মুখিন হতে হবে।
যুগ্ম মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক তথা মিডিয়া সেলের নোডাল অফিসার রাহুলচন্দ্র দাস বলেন, কোভিড-১৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার পোলিং বুথের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ভোটগ্রহণের সময়কাল এক ঘণ্টা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত ফ্রন্টলাইন কর্মী ও কর্মকর্তাদের টিকা দেওয়া হবে।