জন্মজিত্ / সমীপ / অরবিন্দ, করিমগঞ্জ (অসম): কেন্দ্র ও রাজ্য, উভয় সরকার প্রদত্ত কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেনি। বছরে দু কোটি চাকরি প্রদান, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে জমা করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে লাগাম টানা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির প্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া, প্রতিটি ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এ-সব অভিযোগ এনে ‘অসম বাঁচাও’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে সোমবার করিমগঞ্জেও বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং ধরনা দিয়েছে জেলা কংগ্রেস।
আজ বেলা বারোটা থেকে দুটো পর্যন্ত জেলা কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রের সামনে দু ঘণ্টার প্রতিবাদী বিক্ষোভ ও ধরনা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা কংগ্রেস। মহিলা কংগ্রেস, সেবা দল, এনএসইউআই সহ কংগ্রেসের বিভিন্ন সংগঠন আজকের ‘আসাম বাঁচাও’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায়ের নেতৃত্বে এদিনের প্রতিবাদী ধরনা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনে এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। প্রদর্শন শেষে সতু রায় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, গত পাঁচ বছরে সরকার সমগ্র রাজ্য সহ প্রান্তিক জেলা করিমগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শুরু করে পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, বিদ্যুত্ বিল সবকিছুই ঊর্ধ্বগামী। পরিবর্তনের দোহাই দিয়ে মসনদ দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু পরিবর্তন কোথায়? এই সরকারের প্রতি ছুঁড়ে দিয়ে সতুবাবু আরও বলেন, সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এই সরকার। এতে বরাক উপত্যকার তিন জেলার বেকার যুবক যুবতীরা বুক ভরে আশা নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু না, সরকার কথা রাখেনি।
সতু রায়ের আরও অভিযোগ, প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজ করিমগঞ্জে স্থাপন না করে সরকার তাদের বিফলতার আরেক নিদর্শন করিমগঞ্জবাসীর সামনে তুলে ধরেছে। তাই এবার করিমগঞ্জের পাঁচটি আসনে বিজেপির হার নিশ্চিত। কংগ্রেসের নেতৃত্বে সাত দলীয় মহাজোটের প্রার্থীরা এবারের নির্বাচনে জনগণের পূর্ণ সমর্থনে জয়ী হবেন। রাজ্যে এবার মহাজোটের সরকার গঠন করে কংগ্রেস সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায়।