প্রায় ৩০ ঘণ্টা পরে সুন্দরবনে লাগা আগুন নিভেছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে সুন্দরবনে লাগা আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। তবে আগুন পুরোপুরি নিভলেও বনবিভাগ আগুনের এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখছে।
আগুনে বনের এক দশমিক ৩১ একর বনভূমি পুড়ে গেছে। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছুই বলেনি বনবিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, বনে লাগা আগুন নিভে গেছে। বিকেলের পর পানি ছিটানো এলাকায় ধোঁয়ার কোন কুণ্ডলীও দেখতে পাইনি।
তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেল চারটায় আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়া ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা লোকালয়ে ফিরে গেছেন।
তিনি বলেন, সবাই আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতায় করায় দ্রুত সময়ে আমরা আগুন নেভাতে পেরেছি। এ জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সোমবার গভীর রাতে ও মঙ্গলবার দুপুরের বৃষ্টি আমাদের আগুন নেভানোর কাজে দারুণ উপকার দিয়েছে। তবে আমরা এলাকাটি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। নতুন কোনো এলাকায় আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেলে বনকর্মীরা তা নেভাতে পারবে। আগুনে বনের এক দশমিক ৩১ একর বনভূমি পুড়ে গেছে। এই এলাকায় মূল্যবান কোনো গাছপালা ছিল না। যা পুড়েছে বলা, গেওয়া ও লতাগুল্ম জাতীয় গাছপালা। আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
সোমবার বেলা এগারোটা নাগাদ সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি টহল ফাঁড়ি এলাকার ২৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টে এই আগুন লাগে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে আগুন নেভানোর কাজ সমাপ্তি ঘোষণা করেছি। বনের কোথাও আগুন নেই। বনের প্রায় তিন একর এলাকায় গতকাল থেকে পানি ছিটানো হচ্ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে একটানা বিকেল চারটার পর্যন্ত পানি ছিটিয়ে সম্পূর্ণ আগুন নিভিয়ে ফেলি। যে স্থানে আগুন লেগেছে সেই স্থান থেকে জলাশয় প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে। পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। পানির উৎসব ভালো হলে আরও আগেই আগুন নেভানো সম্ভব হতো বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তদন্ত কমিটির প্রধান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জয়নাল আবেদিন বলেন, আগুনে বনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।