শুভ্রদীপ চক্রবর্তী: করোনা ত্রাস এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তবে সংক্রমিতদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ হোম-আইসোলেশনে থেকেই চিকিত্সা করছেন। কোন ওষুধ খাবেন, কখন খাবেন সব ফোনেই বলে দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ স্টোর করে রাখার প্রবণতা দেখা গেছে। সাধারণত কোনও রোগ হলে প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া হয় তারপরে তাঁর দেওয়া পেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ কেনা হয়। কিন্তু সেসবের আর বালাই নেই, বিনা পরামর্শে কিনে এনে রাখছেন ওষুধ এমনকি ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপে বাকি দের পরামর্শ দিচ্ছেন সেই ওষুধ খাওয়ার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শয়ে শয়ে শেয়ার হচ্ছে সেইসব মেসেজ। ওষুধের সম্পর্কে কিছু না জেনেই সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভীড় জমাচ্ছে দোকানের সামনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভুল বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। ডাক্তারের বিনা পরামর্শে ওষুধ খেলে মৃত্যুও হতে পারে। কারণ প্রত্যেকটি ওষুধ নির্দিষ্ট রাসায়নিক মিশ্রণে তৈরি করা হয়। এবং তার প্রভাব সবার ক্ষেত্রে এক হয় না। করোনার দ্বিতীয় স্রোতে এমনই এক চার ওষুধ দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ এবং সম্মতি ছাড়া এই ওষুধ নিতে বারণ করছেন তাঁরা।
১. রেমডেসিভির
এই ওষুধ বাড়িতে ব্যবহার করার জন্য নয়। এটি কেবল হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রোগীদের প্রয়োগ করা হয়। মাঝারি বা গুরুতর সংক্রমণ হলে অক্সিজেনের প্রয়োজনে রেমডেসিভির ইনজেকশন দেওয়া হয়।
২. স্টেরয়েডস
ডেক্সামেথেসোন এর মতো স্টেরয়েডগুলি কেবলমাত্র উচ্চ উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধ ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে বাজারে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত প্রদাহ কমাতে প্রয়োগ করা হয়।
৩. অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টস
এই ওষুধ রক্ত জমাট বাঁধা হ্রাস করে। তবে এগুলি চিকিত্সকের পরামর্শে মাঝারি বা তীব্র উপসর্গ থাকলে দেওয়া হয়। অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টস এর রাসায়নিক পদার্থগুলি সাধারণত ব্লাড থিনার হিসাবে পরিচিত যা রক্ত জমাট বাঁধার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৪. টোসিলিজুমাব- ইমিউনো সাপ্রেসেন্ট
রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে এই ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। স্টেরয়েড দেওয়ার ২৪-২৮ ঘন্টা পরে রোগীর অবস্থার কোনও উন্নতি না হলে এই ওষুধটি দেওয়া হয়।

