শিরোনাম
শুক্র. ডিসে ৫, ২০২৫

আটক নেতাদের মুক্তি চেয়ে জামায়েতে ইসলামীর বিৃবতি

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদসহ দলটির ১০ নেতাকর্মীকে আজ সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলাম। আজ সোমবার তাদের গ্রেপ্তারের পরপরই এই বিবৃতি দেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়- ‘জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশে বিদ্যমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে জামায়াত জনগণের পাশে থেকে সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জামায়াতের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে (আজ সোমবার) ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠক থেকে সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতের ৭ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্যরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব আবদুর রব, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ ও জনাব মোবারক হোসাইন এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব ইয়াসিন আরাফাত।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দেশে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। সরকার দীর্ঘ এক যুগ ধরে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার কেঁড়ে নিয়েছে। কোনো দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না। সরকারের সবচাইতে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালানো হয়েছে। অনেককে গুম করা হয়েছে ও পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। শত জুলুম বুকে ধারণ করে জামায়াত নিয়মতান্ত্রিকভাবে তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের ১৮ মাসে জামায়াত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’

বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার আছে। এটা দেশের জনগণের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারও নেই। গায়ের জোরে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। অতীতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করে জনগণের ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনকে দমন করা যায়নি। এখনো যাবে না ইনশাআল্লাহ। আমি সকল ষড়যন্ত্র ও জুলুম-নিপীড়ণ বন্ধ করে গ্রেপ্তার সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও জনাব হামিদুর রহমান আজাদসহ গ্রেফতার ১০ জনকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *