গতকাল সোমবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে নচিকেতার একটি গান শেয়ার করেন পরীমনি। ‘এত সাহস কার’ শিরোনামের প্রতিবাদী এই গান লিখেছেন বাংলাদেশের জুলফিকার রাসেল। ‘তোমার মন খারাপের কারণটা কে,/ এত সাহস কার,/ শুধু নামটা বলো তার,/ তাকে আকাশ থেকে এই মাটিতে নামানো দরকার’ কথায় ফুটে উঠেছে সাহসী হয়ে বেঁচে থাকার গল্প। ঢালিউড অভিনেত্রী গানটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ট্রাস্ট অন ইয়োরসেলফ’, অর্থাৎ ‘নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো’। স্ট্যাটাসটি নজরে পড়েছে নচিকেতার। সাহসী গানের মতোই পরীমনির সব কর্মকাণ্ডকে ‘সাহসী’ উল্লেখ করে তাঁর পাশে থাকারও ঘোষণা দিয়েছেন এই গায়ক।
নচিকেতা চক্রবর্তী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার পরীমনিকে ভালো লাগে। ভীষণ সাহসী। যেটা বলা উচিত, সেটা সবার সামনে বলার ক্ষমতা রাখেন, যা খুব সহজ নয়। যা করছেন, বেশ করছেন তিনি।’
নচিকেতা বলেন, ‘আমি জানি, পরীমণি আমার গান শোনেন। পছন্দও করেন। আমি ওঁর অনুপ্রেরণা জেনে ভালো লাগছে। সবার বোঝা উচিত, অভিনেত্রীরও “না” বলার অধিকার আছে। সেই “না” উচ্চারণ করেই তিনি আজ এত বিপাকে। এটা ওঁর দোষ নয়, সমাজের দোষ।’
এই গায়ক মনে করেন, সমাজের এই ধারা সব জায়গাতেই সমান। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের চিত্রও এক। নচিকেতা উদাহরণ হিসেবে ষাটের দশকের জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেত্রী মালা সিনহার কথা বলেন, ‘সেই সময় ওঁকে (মালা সিনহা) শুনতে হয়েছিল, ওঁর যাবতীয় উপার্জন নাকি বেশ্যাবৃত্তি করে হয়েছে। সমাজ বরাবর নিজের জোরে ওপরে উঠতে থাকা নারীদের গায়ে কালি মাখিয়ে তাদের নিচে নামিয়েছে।’ এ সময় পরীমনিকে সাহস জুগিয়ে তাঁর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি। বলেন, ‘আপনাকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। সব সময় পাশে আছি।’
৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। ৫ আগস্ট তারা বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। এরপর রিমান্ড, জেল শেষে ৩১ আগস্ট ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।

