আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল মহালয়া থেকে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করবে। কিন্তু বিদায় ক্ষণে ফের খামখেয়ালিপনা শুরু আবহাওয়ার। পুজো শুরুর দু-দিন আগেও বাংলার আকাশের মুখভার। আকাশের কোণে উঁকি দিল মেঘ। এমনকী সন্ধ্যার শহর ভিজল বৃষ্টিতেও। এরপরই আবহাওয়া দফতর যে পূর্বাভাস দিল, তাতে পুজোর বাংলা আবারও ভাসার আশঙ্কা রয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাত্ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
আবওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বর্ষা এখনও পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। তাই ভাসা মেঘে যে কোনও সময়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়ে রেখেছিল অষ্টমী থেকে দশমী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে উত্তর আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। তার জেরেই তিনদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারপর বর্ষা বিদায়ের পূর্বাভাসে আশার আলো দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এখন পঞ্চমীর বিক্ষিপ্ত দিন থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল, ৬ অক্টোবর থেকে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির প্রকোপ বেশি থাকবে। আর দক্ষিণবঙ্গেও বজ্রবিদ্যুত্সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। আবহবিদরা জানান, বর্ষা বিদায়ের সেই পর্ক্রিয়া জারি রয়েছে। যাওয়ার সময় লেজের ঝাপটা দিয়ে যাবে মৌসুমী বায়ু। তাই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে।
এর ফলে পুজোর বাংলা ভাসতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নতুন একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে রবিবার। তার জেরেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। আন্দামান সাগরে তৈরি হয়েছে আর একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি অক্ষরেখা তামিলনাড়ু উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। এর ফলে পুজোর বাংলা ভাসতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা।
এখন আশঙ্কা, পুজোর আনন্দ না পুরোপুরি মাটি হয়ে যায়। আবহাওয়ার রকমফেরে পুজোর বাংলা ভাসার আশঙ্কা থাকছে। পুজোর আগে এক ঘূর্ণাবর্তেই বাংলা বানভাসি হয়েছে। মাইথন থেকে ডিভিসি জল ছাড়ায় বাংলার বেশ কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে সব অংশ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেইসব অংশে পুজোর আনন্দ পুরোপুরি মাটি হয়ে গিয়েছে। এবার পুজোর কলকাতা ও শহরতলির কী অবস্থা হয় সেটাই দেখার।