এগিয়ে আসছে বিহারের উপনির্বাচন। বিধানসভা ভোটে আরডেডির সঙ্গে জেডিইউ-র লড়াই ছিল কানায় কানায়। তাই এবার উপনির্বাচনে বিশেষ জোর দিচ্ছে আরজেডি। ২০ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে আরজেডি। দুটি কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন। সেই দুটি কেন্দ্রকেই পাখির চোখ করে দাবার ঘুঁটি সাজাচ্ছেন লালু প্রসাদ যাদব। এবার ময়দানে নামছেন তিনি নিজে।
তারাপুর এবং কুশেশ্বরানাথ কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন। এই দুই কেন্দ্রে যে ২০ জন তারকা প্রচারক প্রচার চালাবেন সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন তেজ প্রতার যাদব। আরজেডি নেতা হাজিপুর শিবানন্দ তিওয়াড়ি জানিয়েছেন পার্টিতে নেই তেজ প্রতাপ। সেকারণেই তাঁকে প্রচারে রাখা হচ্ছে না। সূত্রের খবর তেজ প্রতাপ নাকি কয়েকদিন আগেই কংগ্রেস বিধায়ক অশোক রামের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারপর থেকেই তাঁর দলবদলের জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তেজ প্রতাপের সঙ্গে তেজস্বী যাদবেপ সংঘাত নতুন কথা নয়। গত কয়েক মাস ধরেই এই সংঘাত চরমে উঠেছে। বিধানসভা নির্বাচনেও তেজ প্রতাপকে তেমন সক্রিয়া ভূমিকায় দেখা যায়নি।
এদিকে যে ২০ জনের তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে আরজেডি তাতে থাকছেন, পার্টি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদব, আবদুলবারি সিদ্দিকি, শ্যাম রজক, তনভির হাসান, তৃশান প্যাটেল, মনোজ কুমার ঝাঁ, ভারত মণ্ডল সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নাম। একটা সময়ে তেজ প্রতাপ তারকা প্রচারকদের তালিকায় থাকতেন। তেজ প্রতাপ বেসুরো হতেই তাঁকে পার্টির তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই তেজ প্রতাপকে খুব একটা দেখা যায়নি। তেজস্বীকে সামনে রেখেই লড়েছিল দল। তেজস্বীর ইমেজ ভর করেই বিহারে ভাল ফল করেছিল আরজেডি। তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনে করেই লড়েছিল দল। জেডিইউ একক ভাবে ভীষণই খারাপ ফল করেছিল। সমীক্ষা পর্যন্ত ধরে নিয়েছিল এবার সরকার বদল হতে চলেছে। কিন্তু বিজেপির কাঁধে ভর করে এগিয়ে যায় জেডিইউ। বিজেপির সাহায্য নিয়ে সরকার গঠন করলেও তেমন সুবিধাজনক অবস্থানে নেই নীতিশ কুমার। নীতিশের জনপ্রিয়তাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি তাই এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছে আরজেডি। সেকারণেই এবার ময়দানে নামছেন লালু প্রসাদ যাদব নিজেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লালু প্রচারের ময়দানে নামলেও তেজস্বীকে সামনে রেখেই নামছে আরজেডি।