সুবাস নয়, এ ফুলের পরিচিতি তার দুর্গন্ধের জন্য । এর পোশাকি নাম ‘কর্পস ফ্লাওয়ার’ (Corpse Flower) বা ‘শবফুল’। এই ফুলের গন্ধ পচা মানবদেহের মতো। কিন্তু তার পরও হাজার হাজার মানুষ এক বার তার কাছে যেতে চায়।
আকার ও আকৃতির জন্য এই ফুলের আর এক নাম ‘পেনিস প্ল্যান্ট’ (Penis Plant)। প্রস্ফুটিত এই ফুলের দিকে তাকালে এক ঝলকে মনে হয় পুরুষাঙ্গের কথা। এই ফুল খুবই বিরল। সম্প্রতি এটি ইউরোপে (Europe) ফুটেছে। ইতিহাসে তৃতীয় বারের জন্য ।
বটানিস্টদের কাছে এই ফুলের পরিচয় ‘অ্যামোরফোফ্যালাস ডেকাস সিলভা’। এর গন্ধ অত্যন্ত উগ্র ও তীব্র। মনে হয় যেন অসংখ্য পচাগলা মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ বার হচ্ছে।
এই পচা গন্ধে আকৃষ্ট হয় অসংখ্য মাছি ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ। এই ফুলের আকৃতি বিশাল। ফুলের ‘ফ্যালিক’ অংশ উচ্চতায় ৬ ফিট অবধি পৌঁছতে পারে। বড় হওয়ার জন্য ফুলের দরকার হয় তীব্র গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া।
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপ এই ফুলের আদি বাসভূমি। প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রাকৃতিক উপায়ে এই ফুল ফুটতে সময় নেয় সাত বছর । তাই ইউরোপের মাটিতে এই ফুল ফুটলে তাকে বিরল ঘটনা হিসেবেই ধরা হয়।
নেদারল্যান্ডসের লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানিক্যাল গার্ডেন ইনস্টাগ্রামে পেনিস প্ল্যান্টের ছবি পোস্ট করেছে। সঙ্গে লেখা হয়েছে, ”ফুলটি সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয়েছে। সঙ্গে হাজির এর গন্ধও!” এ বারও প্রচুর দর্শনার্থী এই ফুল দেখতে জড়ো হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে শেষ বার ইউরোপে এই ফুল ফুটেছিল ১৯৯৭ সালে।