কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা যখন হিডকো ভবনে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন ঠিক তখনই শুক্রবার বিধানসভার বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠকে রাজ্য সরকার জানাল, বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে প্রস্তাব আনা হবে বিধানসভার চলতি অধিবেশনে।
আগামী বুধবার এই প্রস্তাব বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পেশ হতে চলেছে। ঘটনাচক্রে এদিনই বিএসএফের গুলিতে কোচ বিহারের বাংলাদেশ সীমান্তে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত খবর, দু’জন বাংলাদেশি ও এক ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বলের সেনাদের গুলিতে।
যদিও বিধানসভায় এদিন কোচবিহারের সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেছেন, এদিন বিএসএফের গুলিতে সিতাইয়ের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকালই পাঞ্জাবের চরণজিত্ চান্নির সরকার বিএসএফের এলাকা বাড়ানোর বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বিধানসভায়। এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাও। আগে সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ভিতরে এসে তল্লাশি, গ্রেফতার ইত্যাদি করতে পারত বিএসএফ। সম্প্রতি অমিত শাহের মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয় তা বাড়িয়ে করা হবে ৫০ কিলোমিটার। ফলে দেখা যাচ্ছে, বাংলার একাধিক জেলার ডজনের বেশি শহর, জেলা সদর বিএসএফের হাতের মুঠোয় চলে যাচ্ছে। কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই চব্বিশ পরগনার মতো জেলার গুরুত্বপূর্ণ জনপদ রয়েছে এই তালিকায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই নাক গলানোকে মেনে নেয়নি নবান্ন। সরকারের পাশাপাশি তৃণমূল সহ বাম কংগ্রেসও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। তাঁদের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত আসলে নির্বাচিত সরকারের এক্তিয়ারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এবার তা নিয়েই প্রস্তাব পেশ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়।