দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করেছে। যার দাপটে ম্রিয়মান উত্তরে হাওয়া। মেঘলা থাকায় রাতের তাপমাত্রা না কমলেও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে তা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
এদিন বিকেলে দেওয়া আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাত্ ১৫ নভেম্বর সোমবারের মধ্যে শুধুমাত্র মালদহকে বাদ দিয়ে উত্তরবঙ্গের সর্বত্র আবহাওয়া শুকনো থাকবে। সামান্য বৃষ্টি হতে পারে মালদায়। আপাতত কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার অর্থাত্ ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুতের সঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার নাগাদ বীরভূম, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের কোনও কোনো জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে। আগামী তিনদিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে এর পরে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। আগামী দিনতিনের দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২-৪ ডিগ্রি পর্যন্ত কম থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
কলকাতার আবহাওয়া
কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আগামী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ২৩ ডিগ্রির আশপাশে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (৩০.৬)
বালুরঘাট (২৮.৮)
বাঁকুড়া (২৮.২)
ব্যারাকপুর (২৯.৮)
বহরমপুর (২৮.২)
বর্ধমান (৩১)
ক্যানিং (৩১)
কোচবিহার (৩২.৩)
দার্জিলিং (১৬.৬)
দিঘা (৩১)
কলকাতা (৩০.৮)
মালদহ (৩০.৭)
পানাগড় (২৮.৭)
পুরুলিয়া (৩০.৩)
শিলিগুড়ি (২৯.৯)
শ্রীনিকেতন (২৮.৮)
আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ, অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন থাইল্যান্ড উপকূলে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। যা ক্রমেই পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। ১৫ নভেম্বর নাগাদ তা আরও শক্তি বাড়াবে। এরপর ১৮ নভেম্বর নাগাদ শক্তি আরও বাড়িয়ে অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও একটি নিম্নচাপ অবস্থা করছে উত্তর তামিলনাড়ুর ওপরে। সেখান থেকে একটি অক্ষরেখা অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের ওপর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আগামী কয়েকদিনেরহ মধ্যে ভারী বৃষ্টি হতে পারে কেরল, দক্ষিণ ওড়িশা, তামিলনাড়ু, আন্দামান নিকোবরে।