তথ্য গোপন করে মামলা করায় এক আইনজীবীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে এই জরিমানার টাকা রাজ্যের লিগ্যাল এইড সার্ভিসের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
আদালত সূত্রের খবর, করনার আবহের মধ্যেও জরুরী ভিত্তিতে বেশ কিছু মামলার শুনানি চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিছুদিন আগে অভিযোগ ওঠে, এই সুযোগে কিছু আইনজীবী জামিন বা আগাম জামিন করানোর আবেদন করেছিল হাইকোর্টে। সোমবার এমনই একটি মামলায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ ওঠে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে।
বর্ধমানের বাসিন্দা মামালাকারী আফিরুদ্দিনের আইনজীবী অরিন্দম রায় তার মক্কেলের হয়ে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু গত এপ্রিল মাসেই এই একই ব্যাক্তির জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চ।
এই তথ্য গোপন করে ওই আইনজীবী তার মক্কেলের হয়ে ফের জামিনের আবেদন করে। এদিন মামলার শুনানিতে সরকারি আইনজীবী নাগিম আহমেদ গোটা বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের সামনে কিছু নথি সহ তুলে ধরে জানান, যে ব্যক্তির জামিন আগেই খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার জামিনের আর্জিতে কিভাবে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়!
তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মামলা খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘এই পরিস্থিতিতে এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন দায়িত্ববান আইনজীবী তথা একজন বার প্রতিনিধির কাছে এইরূপ ব্যবহার আশা করা যায় না।’