ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। এমন পরিস্থিতিতে বাইরের দেশগুলি থেকে এ রাজ্যে এলে ১৪ দিনের অন্দরবাসে থাকতেই হবে। কড়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশনে রাখার কিছু নিয়মও বলা হয়েছে গাইডলাইনে। ওমিক্রন আতঙ্কে দেশের ছ’টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিদেশ ভ্রমণ করে এলেই আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। এই টেস্টের জন্য প্রি-বুকিং করতে হবে বিমানযাত্রীদের। তার জন্য কিছু নিয়মও বলে দেওয়া হয়েছে। সরকারের ‘এয়ার সুবিধা’ অনলাইনে পোর্টালে গিয়ে প্রি-বুকিং করতে হবে। দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদের বিমানবন্দরে এই নিয়ম চালু হয়েছে সোমবার থেকেই। ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য স্বাস্থ্য় দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্ত দেশগুলি থেকে পশ্চিমবঙ্গে এলে প্রথমে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতেই হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে যাত্রীদের। সে জন্য আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থাও করা হবে। প্রোটোকল মেনে চিকিত্সা হবে সেখানেই।
আইসোলেশনের নিয়ম কী কী?
সরকারি গাইডলাইনে বলা হয়েছে, বিদেশ ফেরত যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। জিনোম সিকুয়েন্সের রিপোর্ট যতদিন না আসছে ততদিন যাত্রীদের আলাদা ঘর বা আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হবে। যদি সংক্রমণের সামান্য উপসর্গও থাকে, তাহলে কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। কোভিড পজিটিভ যাত্রীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড, টয়লেট ও বাথরুম সবই আলাদা থাকবে। পিপিই পরে তবেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঢুকতে পারবেন কেয়ার-গিভাররা। যাতে কোনওভাবেই সংস্পর্শ থেকে সংক্রমণ না ছড়ায়, তা খেয়াল রাখতে হবে। ১৪ দিন পরে ফের করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই গন্তব্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। জিনোম সিকুয়েন্সের পর কোনও যাত্রীর নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট (বি.১.১.৫২৯) ধরা পড়লে তাঁর জন্য আলাদা চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হবে। সংক্রমণ কমে গেলে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হবে। দুটি টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই গন্তব্যে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। সূত্র: দ্য ওয়াল ব্যুরো