শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে উপাচার্যের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন শাবিপ্রবির পার্শ্ববর্তী কয়েকজন স্থানীয়।
তারা বলেছেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ওলির নামে, এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের অবাধ চলাফেরা ও ‘অবৈধ’ মেলামেশা মেনে নেয়া হবে না। ছাত্র-ছাত্রীদের এসব ‘অবৈধ’ কর্মকাণ্ড দমনে উপচার্য কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়লে স্থানীয়রা ‘কাফনের কাপড় পরে’ তার পাশে থাকবেন।
রবিবার নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন স্থানীয়দের পক্ষে উপাচার্যকে দেয়া এক স্মারকলিপিতে এ কথা জানান।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘শাবিপ্রবি আমাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তির উপরে একজন ওলির নামে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি আমাদের গর্ব এবং বিষয় এর সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, একজন মহান ওলির নামের বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ছেলে-মেয়েরা টিলার উপরে সেন্ট্রাল অডিটরিয়ামের আশেপাশে এবং পুরো ক্যাম্পাসজুড়েই আপত্তিকর ও অনৈতিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা চলাফেরা এবং অবাধ মেলামেশা করেন। বিষয়টি কোনো সুস্থ ও বিবেকমান মানুষ মেনে নিতে পারে না।
আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের অসংলগ্ন চলফেরা ও আচরণে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও আশেপাশে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের এই ধরনের কাজে আমরা এলাকাবাসী ধিক্ষার জানাচ্ছি। এমন কর্মকাণ্ডে মহান ওলি নামকে কলুষিত করাসহ আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটের মানুষের অনুভূতিতিতে আঘাত করা হচ্ছে। সিলেটের মানুষ এমন কর্মকাণ্ড বেশিদিন চলতে দিবেন না। প্রয়োজনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন।
স্মারকলিপির মাধ্যমে শাবি উপাচার্যকে এমন কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।