বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ঘটনার শেষ নেই, যা জন্ম দিয়েছে আলোচনা-সমালোচনার। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চলা এই ‘খেলা’ শেষমেশ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে হবেন, জায়েদ খান নাকি চিত্রনায়িকা নিপুণ তা এখন নির্ধারণ করবেন আদালত। চলচ্চিত্রের আতুর ঘর বিএফডিসিতে নির্বাচন, জায়েদ খান ও নানা প্রসঙ্গ নিয়ে টানটান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেছেন চলচ্চিত্র সংগঠনের নেতারা। জানা গেছে, শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোর নেতাদের প্রবেশ করতে না দেওয়াসহ নানা ইস্যুতে জায়েদ খান ও এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুজহাত ইয়াসমিনের ওপর নাখোশ সংগঠনগুলো। এসব সংগঠনের নেতারা আজ মঙ্গলবার বসেছেন জরুরি বৈঠকে। প্রযোজক সমিতির স্টাডিরুমে ১৭ সংগঠনের পক্ষে মুখপাত্র চিত্রনায়ক আলমগীরের নেতৃত্বে চলছে বৈঠক।
এদিকে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করার পরদিনই তিনি শপথ নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব বুঝে নেন। আজ সন্ধ্যায় সরেজমিনে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় সেখানে তালা ঝুলছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমিতির নবনির্বাচিত আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী।
এফডিসিতে ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ চলচ্চিত্রের শুটিং করছিলেন জয়। কাজের বিরতিতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় কারো নাম উল্লেখ না করে এই চিত্রনায়ককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিল্পী জানান, নিপুণ যেদিন আপিল বোর্ডের রায় নিয়ে শিল্পী সমিতিতে ঢুকেছেন সেদিনই আগের তালা বদলে নতুন তালা লাগিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বদলে ফেলেছেন বসার চেয়ার। চেয়ার ও তালা বদলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সদ্য নির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক।
জয় চৌধুরী মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে জয় বলেন, ‘আমাদের নির্বাচিত কমিটির মানুষদের বিরুদ্ধে কথা বললে বা সমালোচনা করলে সেটা আমাদের গায়েই পড়বে। তারা ভালো কাজ করলেও আমার শরীরে এসে লাগবে, খারাপ কাজ করলেও লাগবে।’
চাবি কার কাছে আছে তাও জানেন না জয়। তবে চেয়ার পরিবর্তনের কথা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছেন উল্লেখ করে তরুণ এই অভিনেতা বলেন, ‘চেয়ার পরিবর্তন করার বিশেষ কোনো কারণ থাকতে পারে। হয়তো এখানে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নিজস্ব কোনো মতের ব্যাপার রয়েছে। কিন্তু তালাচাবি পরিবর্তনের বিষয়টি বুঝতে পারছি না। এর আলাদা কোনো বেনিফিট আছে কিনা আমি জানি না।’
‘চার বছর ধরে সমিতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। এর আনাচে-কানাচে কোথায় কী রয়েছে আমার সব জানা আছে। এখানে সোনাদানা লুকানো নেই যে চুরি হয়ে যাবে।’ বলেন জয়।