বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী তাঁতপণ্যের প্রস্তুতকারক ও শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বিলুপ্তি রোধ করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এসএমই ফাউন্ডেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স বাংলাদেশ (এএফডিবি) টানা চতুর্থবারের মত হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁয়ের পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স বাংলাদেশের (এএফডিবি) সভাপতি মানতাশা আহমেদ এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ তাঁত ও বুনন শিল্পের ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এ দেশের এলাকাভেদে বিভিন্ন ধরনের তাঁত, বস্ত্র ও কারুশিল্প বিকশিত হয়েছে। এরই মধ্যে সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী জামদানি, মিরপুরের বেনারসি শাড়ি, টাঙ্গাইলের তাঁত ও শাড়ি, সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি ও তাঁতবস্ত্র, নকশীকাঁথা, কুমিল্লার খাদী, রাজশাহীর সিল্ক, মনিপুরি তাঁত ও রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তাঁতপণ্য দেশজুড়ে বিখ্যাত। ঐতিহ্যবাহী এ তাঁতপণ্যের প্রস্তুতকারক ও শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বিলুপ্তি রোধ এবং সর্বোপরি দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হয়েছে।
ফেস্টিভ্যালে বয়নশিল্প প্রদর্শনসহ প্রায় ৫০টি স্টলে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য শাড়ি-লুঙ্গি-গামছা, খাদি, নকশিকাঁথা, বেনারসি শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানি শাড়ি, শতরঞ্জি, পটচিত্র, রিকশা পেইন্ট, জুয়েলারি, টেরাকোটা, পিতল, কাশা, শঙ্খ, মনিপুরী কাপড়, রাঙ্গামাটির চাকমাসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কাপড় ও হস্তশিল্প পণ্য, পাটজাত, বাঁশ ও বেতজাত পণ্য প্রদর্শন করা হবে।
এছাড়াও খাতভিত্তিক পণ্যের ইতিহাস নিয়ে তথ্যচিত্র, পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের ধারণা দেওয়াসহ নানা আয়োজন থাকবে।





