আসাম নিউজ ডেস্ক: বিডিএফ এর পর এবার বাংলাকে সরকারি রাজ্যভাষার স্বীকৃতির দাবিতে সোচ্চার হল ‘আমরা বাঙালি’। আসামের এক তৃতীয়াংশ লোকের ভাষার এখনো জুটেনি সরকারি সহযোগী ভাষার স্বীকৃতি। এ নিয়ে আবার সরব হল ‘আমরা বাঙালি’ সংগঠন।
এক প্রেস বার্তায় ‘আমরা বাঙালি’ আসাম রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন পুরকায়স্থ বলেন যে ঝাড়খন্ড,কর্নাটক সহ বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অথচ আসামের তুলনায় ঐসব রাজ্যে বাংলাভাষীদের সংখ্যা অনেক কম। সেক্ষেত্রে কিন্তু তাদের তেমন আন্দোলনও করতে হয়নি। সরকার স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়েই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু ব্যাতিক্রম এই অসম।
এক কোটি মানুষের মাতৃভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি না দেবার পিছনে কিন্তু কোন যুক্তি নেই। তাই বিষয়টি শুধু ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। এটাকে বাঙালি বিদ্বেষ ছাড়া আর কি বলা যায় – মন্তব্য করেন তিনি। সাধন বাবু বলেন ১৯৬১ এর আন্দোলনের দাবি গুলির মধ্যে বাংলাকে রাজ্যের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাই এ কোন নতুন দাবি নয়। তিনি বলেন সরকার সংখ্যালঘু কমিশনের সমস্ত নির্দেশকে এক্ষেত্রে অমান্য করছেন।
তিনি আরো বলেন রাষ্ট্র সংঘের সনদে প্রত্যেককে প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষায় পঠনপাঠনের সুযোগ দেবার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার অনেক বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় বাংলা মাধ্যমের স্কুল সরকারি অবহেলায় বন্ধ হচ্ছে নতুবা অসমিয়া মাধ্যমে পরিবর্তিত করা হয়েছে। ফলে এই প্রাথমিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই রাজ্যের বাঙালিরা। বাঙালিদের বিভিন্ন উৎসবে সরকারি কোনো শুভেচ্ছা বার্তা এখানে প্রকাশিত হয়না। রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীকে এসব ন্যুনতম সৌজন্যও দেখানো হয়না ।
সাধন বাবু বলেন অসমের বরাকে বাংলা স্বীকৃতি পেয়েছে ১১ শহীদের রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু সেই অধিকারের উপরও বারবার সরকারি হস্তক্ষেপ, পরোক্ষ আঘাত হানা হচ্ছে। তিনি বলেন এই ইস্যুতে রাজ্যের সমস্ত বাঙালিকে আওয়াজ উঠাতে হবে। এক কোটি মানুষের আওয়াজকে অমান্য করার ক্ষমতা নেই কোনো সরকারের। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।এই গণ দাবিকে উপেক্ষা করলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ‘আমরা বাঙালি’ সংগঠনের পক্ষ থেকে সঞ্জয় দে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।