মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশ সীমান্তে গত শনিবার থেকে বাড়তি আধা সেনার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে সব মহলেই। বিগত কয়েকদিন ধরেই মুর্শিদাবাদ সীমান্তে জলঙ্গি ও রাণীনগরে বিভিন্ন স্কুল বাড়ি এবং ফ্লাডসেন্টার গুলোতে ক্যাম্প করেছে আধা সেনা। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি চালানোর জন্যেই কি এই আধা সেনা মোতায়েন করা হলো? ভারত -বাংলাদেশের সম্পর্কে কি তাহলে শৈত্য নামছে?
বিএসএফ এর পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, রাজ্য জুড়ে লকডাউন এর কারণে আধা সেনার কয়েকটি বাহিনীকে জলঙ্গি ও রাণীনগরের কিছু কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। অনেকের কাছেই অবশ্য এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। লাদাখে চীন-ভারত সেনা সংঘর্ষ, কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা, নেপাল এর সঙ্গে মানচিত্র নিয়ে মতানৈক্য, ভুটান সীমান্তে চীন সেনাকে কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করতে দেয়ায় ভুটানের সবুজ সংকেতের সঙ্গে ভারতের এই বাড়তি সতর্কতার যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে দিল্লি-ঢাকার সম্পর্ক ভালো। করোনা নিয়ে কিছুদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা হয়েছে। তাও জলঙ্গিতে বাড়তি বিএসএফ সতর্কতার অঙ্গ হিসেবেই ধরে নেয়া হচ্ছে।