আরাকান নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার বক্সনগর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে শিশুসহ ৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করল কলমচৌড়া থানার পুলিশ৷ আগরতলা-বক্সনগর রাস্তার উপর কলমচৌড়া থানার নাকাতে পুলিশ সাধারণ ডিউটি করছিল। তখন টি আর ০১ এ এম ০৬৪৫ নম্বরের ছোট গাড়ি করে ৮ জন রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে৷
তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসা হয় কলমচৌড়া থানাতে৷ জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ির ড্রাইভার সুমন দাস জানায় সে ৩০০০ টাকার বিনিময়ে আগরতলা থেকে পুটিয়া সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ার কথা হয়। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি সুমন এবং তার গাড়ি পুলিশের কাছে আটক আছে৷ আটককৃত রোহিঙ্গাদের নাম হল মোহাম্মদ হাশেম (২৯) ফাতেমা খাতুন (২৭) আলী মিয়া (১০) সোলেমান মিয়া (৬) ইছাহা মিয়া (৩) মনোয়ারা বেগম (৩২)মফিজুল ইসলাম (১৬)এবং তহিদুল ইসলাম (১৪)৷
এদের মধ্যে ৫জন ৫দিন আগে দিল্লি থেকে রওনা দিয়েছিল বাংলাদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে৷গুয়াহাটি পর্যন্ত ট্রেনে আসে, সেখান থেকে বাসে করে ত্রিপুরা উদ্দেশ্যে রওনা দেয়৷ ধর্মনগর আসার পর তারা চারবার গাড়ি পাল্টে বক্সনগরস্থিত পুটিয়া সীমান্ত এলাকায় আসছিল৷ আগরতলা আসার পর বাকি তিন জনের সঙ্গে পাঁচজনের দেখা হয়। তখন গাড়ির ড্রাইভার সুমন দাস তাদেরকে পুটিয়া সীমান্তে পৌঁছে দেবে বলে নিয়ে আসে বলে জানা গিয়েছে ৷
মনোয়ারা বেগম (৩২)মফিজুল ইসলাম (১৬)এবং তহিদুল ইসলাম (১৪)৷ এই তিনজন রোহিঙ্গা উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এসেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে ৷হাসেম জানায় তাদের পূর্বের বাড়ি ছিল মায়ানমারের বচুতন জেলার নাছেরা থানা এলাকার জানহামা গ্রামে৷ ২০১২ সালে বাংলাদেশ স্থিত চট্টগ্রাম রোহিঙ্গা রিলিফ ক্যাম্পে এসেছিল তারা৷ মাত্র চারদিন বাংলাদেশে থাকার পর দালালের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গ বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে৷ ট্রেনে করে দিল্লিতে পাড়ি দেয়৷ তারপর থেকে দিল্লিতে তাদের বসবাস৷ যখন যে কাজ পায় তখন সেই কাজ করেই জীবনধারণ করে তারা৷ দিল্লির শিববিহার এলাকার উদ্বাস্তু ক্যাম্পে অবস্থান করে তারা৷
এরইমধ্যে আধার কার্ড সহ ভারতের বিভিন্ন কাগজপত্র তারা দালালের মাধ্যমে বানিয়ে নিয়েছে৷ জুলাই মাসের ঈদকে উপলক্ষ করে তারা বাংলাদেশ যাচ্ছে। ঈদ শেষে আবারও চোরাই পথে ভারতে প্রবেশ করার পরিকল্পনা ছিল বলে জানায় হাসেম৷