আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ায় রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের (আরটিকে) মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার নামে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুজন বাংলাদেশিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। তবে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার বাংলাদেশিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাদের সবাইকে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ ধারায় তদন্ত করার জন্য ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খাইরুল জাইমি দাউদ।
তিনি বলেন, গত বুধবার (৮ জুন) কুয়ালালামপুরের জালান লুমুত ও সেলাঙ্গরের আমপাংয়ের পান্ডান কাহায়ায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে চারজন ও পরে আরও দুই বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। তারা দুজনেই মালয়েশিয়ান নারীকে বিয়ে করে এ প্রতারণা করে আসছেন। তাদের স্ত্রীদেরও আটক করা হয়েছে।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, মালয়েশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা (মাইপিআর) মর্যাদা ধারী এক বাংলাদেশি সিন্ডিকেট চক্রের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করতেন। মালয়েশিয়ার এক নারীকে বিয়ে করা তাকে ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মাইপিআর স্ট্যাটাস (অনুমতি) দেওয়া হয়েছিল। ভিসা জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি দুই মিলিয়নের বেশি টাকা আয় করেছেন বলে ধারণা করছে অভিবাসন বিভাগ।
তিনি বলেন, এই সিন্ডিকেট চক্রটি ২০২১ সালে অবৈধভাবে একটি নির্মাণ সংস্থা ও একটি অবৈধ কর্মসংস্থান সংস্থা স্থাপন করে চালু হওয়া আরটিকে প্রোগ্রামে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন শুরু করে। তারা প্রত্যেক অভিবাসীদরে কাছ থেকে ওয়ার্কিং ভিজিট পাস (পিএলকেএস) দেওয়ার জন্য তিন হাজার পাঁচশ থেকে চার হাজার দুইশ টাকা নিতো।
জাইমি দাউদ বলেন, অভিযানে বাংলাদেশি ৪৫৭টি পাসপোর্টসহ ইন্দোনেশিয়ান আটটি, ভারতের আটটি, পাকিস্তানের আটটি, মিয়ানমারের ছয়টি ও নেপালের একটিসহ বিভিন্ন দেশের মোট ৪৮৮টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, দুটি কম্পিউটার ও ১২টি স্ট্যাম্পসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এগুলো রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের কাজে ব্যবহার করা হতো।
অভিবাসন বিভাগের ডাটাবেসে পরীক্ষায় এই ৪৮৮ জন পাসপোর্টধারীর কেউ যদি পিএলকেএস পেয়ে থাকেন তাহলে তা বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।