পবিত্র হজ পালন নিবিঘ্ন করতে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হলো যৌথ বাহিনীর মহড়া। তাতে অংশ নেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও মহড়ায় অংশ নেন। এবার শর্তসাপেক্ষে ১০ লাখ মানুষ হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। খবর রয়টার্সের।
মূলত কোনো জঙ্গি হামলা বা জিম্মি পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয়া হবে তারই প্রস্তুতি, এ মহড়া। এছাড়া অগ্নিকাণ্ড রোধ এবং ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার বিষয়েও চলে মহড়া।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তালাল আল শালহোব বলেন, আল্লাহর মেহমানদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে আমরা প্রস্তুত। সে কারণেই নিরাপত্তা এবং সেনাবাহিনীর এ যৌথ মহড়া। সৌদি আরবে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। মহড়াতেই স্পষ্ট, শান্তিপূর্ণভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে সৌদি সরকার বদ্ধ পরিকর।
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর পর স্বাভাবিক হজ আয়োজনে ফিরলো সৌদি আরব। তবে, এবার সৌদি সরকার যে সংখ্যক মানুষকে হজের অনুমতি দিচ্ছে, সেটা করোনা মহামারির আগের তুলনায় ৪৫ শতাংশ মাত্র।
অবশ্য, হজ পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের মানতে হবে কঠোর শর্ত ও নীতিমালা। সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে করোনার পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা। তাছাড়া, সৌদি আরব পৌঁছানোর ৭২ ঘণ্টা আগে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ হতে হবে।
এবার হজ পালনের অপেক্ষায় থাকা একজন বলেন, আল্লাহর কাছে হাজারও শুকরিয়া। গেলো দুই বছর মহামারির কারণে হজ পালন থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। মুসলিম ভাইবোনদের সাথে তাওয়াফ করতে পারিনি কাবা শরিফ। আলহামদুল্লিলাহ! শর্ত দিলেও এবার মিলছে হজ পালনের সুযোগ।
আরও বলেন, করোনা মহামারির অভিশাপ কমিয়েছেন আল্লাহ। সে কারণেই, ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকা থেকে মুসল্লিরা আসতে পারছেন সৌদি আরবে। এতোদিন মনে হচ্ছিলো, আমরা খাঁচায় আটকা ছিলাম।
আগামী ৭ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত পালিত হবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। এবার আরাফাতের ময়দানে বাংলাসহ ১৪টি ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হবে।