আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগ চান তার নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির অধিকাংশ সদস্য। আর দলীয় নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকেও ফিরিয়ে আনার পক্ষেও মত দিয়েছেন তারা। সম্প্রতি করা এক জরিপে এ তথ্য উঠেছে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, ইউগভ নামের এক সংস্থা সম্প্রতি এক জরিপ করে। গত ১৭-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই জরিপে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ৫৩০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারী কনজারভেটিভ দলের ৫৫ শতাংশ বলেছেন, এই মুহূর্তে ভোট হলে তারা ঋষি সুনাককে ভোট দেবেন। বিপরীতে লিজ ট্রাসকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন মাত্র ২৫ শতাংশ।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৫ শতাংশ মনে করেন লিজ ট্রাসের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। তবে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ৩৮ শতাংশ কনজারভেটিভ।
অন্যদিকে, জরিপে অংশগ্রহণকারী কনজারভেটিভদের ৬৩ শতাংশ লিজ ট্রাসের জায়গায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ফিরিয়ে আনান পক্ষে মত দেন। ৬২ শতাংশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। আর দলের নেতা পেনি মর্ডান্টের কথা বলেছেন ৫৪ শতাংশ।
২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে যাওয়ার ভোট দেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক সংকটে জর্জরিত ব্রিটেন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত তিনজন প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়েছে ব্রিটেন। ট্যাক্স কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত মাসে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে আসেন লিজ ট্রাস। ক্ষমতায় এসেই অজনপ্রিয় বাজেট প্রণয়ন এবং কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এসব পদক্ষেপ তার দলকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। যার ফলশ্রুতিতে তাকে এখন রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার লড়াই করতে হচ্ছে।
বিতর্কিত ‘মিনি-বাজেট’ নিয়ে সমালোচনার মুখে এটি প্রণয়নের দায় নিয়ে গত সোমবার ক্ষমা চান লিজ ট্রাস। তিনি বলেন, ‘আমি দায় স্বীকার করতে চাই এবং যে ভুলগুলো হয়েছে তার জন্য দুঃখিত।’
লিজ ট্রাস বলেন, ‘আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম। করের সমস্যা মোকাবিলা এবং জ্বালানি বিল নিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা খুব বেশি এবং খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’