শরীরের খেয়াল রাখা মুখের কথা নয়। অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়া। কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে শরীরের হাল কেমন থাকবে। বাইরের খাবার খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই তাই বাইরের খাবার এড়িয়ে চলেন। পরিবর্তে বাড়ির খাবারেই ভরসা রাখেন।
কিন্তু তাতেও কি শেষরক্ষা হয়? স্বাস্থ্যকর ভেবে প্রতিদিন যে খাবারগুলো খাচ্ছেন, রান্নায় যে উপকরণগুলো ব্যবহার করছেন- সবগুলো কি সত্যিই স্বাস্থ্যকর? আসলে সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ভূত। তাই রান্নাঘরের কয়েকটি জিনিস ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে বিপদের আশঙ্কা। সুস্থতা চাইলে সেগুলোর সঙ্গে সখ্যতা কমাতে হবে। যেমন-
ময়দা: ছুটির দিনে ভাজাপোড়া থেকে জন্মদিনের কেক- সব কিছুতেই ময়দা রয়েছে। অথচ এই চেনা উপকরণটি ডেকে আনতে পারে নানা বিপদ। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের অনেকেই ময়দা থেকে দূরে থাকেন।
ওজন বাড়ানো ছাড়াও ময়দা আরও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অম্বলের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে ময়দা খেলে। ময়দায় থাকা গ্লুটেন হজমপ্রক্রিয়া ব্যাহত করে। ঠিক মতো পেট পরিষ্কার হয় না। বহু দিন ধরে এমন চললে হজম এবং অন্ত্রের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তেল: বিনা তেলে রান্না সম্ভব নয়। তবে রান্নায় তেল ব্যবহারের পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক- সকলেই সুস্থ থাকতে তেল খাওয়া কমাতে বলে থাকেন। বেশি তেল দেওয়া খাবার খাওয়ার জেরে শরীরে নানা রকম রোগবালাইয়ের জন্ম দেয়। বেশি তেল দেওয়া রান্না খাওয়ার ফলে হার্টের রোগ হতে পারে।
অত্যধিক পরিমাণে ভাজাপোড়া খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো নানা ক্রনিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই তেল জাতীয় খাবার যত কম খাবেন তত ভালো থাকবে শরীর।
লবণ: রান্নার স্বাদ নির্ভর করে লবণের উপরে। এটি ছাড়া রান্না সম্ভব নয়। তাই বলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণও শরীরে ডেকে আনতে পারে মারাত্মক সব অসুখ। লবণে থাকা সোডিয়াম শরীরে প্রবেশ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়। শরীরে উচ্চ রক্তচাপ শরীরে বাসা বাঁধলে চিকিৎসকরা তাই লবণ একেবারেই কম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
চিনি: চা-কফি কিংবা রান্নায় একটু চিনি পড়লে স্বাদ খোলে। তবে স্বাদের যত্ন নিতে গিয়ে শরীরের অবহেলা ঠিক নয়। চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে চিনি। ফলে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা থেকে যায়।
সমীক্ষা বলছে, প্রতিদিন গুনে গুনে পাঁচটি চিনি খেলেও স্থূলতার আশঙ্কা তৈরি হয়। এমনকি, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও চিনি না খাওয়াই ভালো। চিনি খেলে শরীরে ক্যালোরি জমাট বাঁধে। সে কারণেই চিনিকে অনেকে হোয়াইট পয়জন বা সাদা বিষ বলে থাকেন।