শিরোনাম
বৃহঃ. ডিসে ৪, ২০২৫

ইতালিতে কোয়ারেন্টাইন মানছে না প্রবাসী বাংলাদেশিরা

ইতালিতে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলছেন না সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এসময় ইতালিতে এক নারীসহ ১১ বাংলাদেশির করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে।

দেশ থেকে আসা বাংলাদেশিরা কোনভাবেই কোয়ারেন্টিন মানছে না, ফলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রবাসীরা।

এ ব্যাপারে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার বলেন, বাংলাদেশ থেকে যে সব প্রবাসী ফিরেছেন সবাই যেন ইতালি সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। তা না হলে একদিকে যেমন তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, অন্যদিকে সংক্রমণ বৃদ্ধি হলে আমাদের দোষারোপ করতে সুযোগ পাবে ইতালি সরকার। এতে করে দেশেরও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইতালির ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার সময় পরিস্কার ভাবে ফরমে শর্ত দেয়া হয়েছে, সবাইকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এসময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহবান জানান তিনি ।

এদিকে ১৭ ও ২৪ জুন বিশেষ ফ্লাইটে আসা রোমসহ ইতালির আরও দুইটি শহরে ৭ বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত হয়। তারা সবাই চিকিৎসাধীন আছেন। এমন খবরে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ফ্লাইটে আসা ৭ বাংলাদেশির করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। একই সঙ্গে এক নারীর করোনা শনাক্ত হয়। তিনি লন্ডন থেকে ইতালিতে আসেন।

ফরতা ফুর্বা নামক এলাকায় একটি বাসায় আরেক বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত করা হয়। একই বাসার আরও দুইজনের পজিটিভ ধরা পড়লে তিনটি এ্যামবুলেন্স ডেকে আলাদা ভাবে তাদেরকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওই বাংলাদেশিরা বিশেষ ফ্লাইটের যাত্রী। পরে পুলিশ এসে বাসাটিতে তালা লাগিয়ে দেন। আরেক বাংলাদেশির কর্মকাণ্ডে ইতালির গণমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আসেন।

ইতালির স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন পর্যন্ত খবরটি চলে গেলে অবশেষে দেশটির গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদটি ছাপা হয়। পরে এই ঘটনায় দূতাবাসকে জবাবদিহি করতে হয়েছে। দূতাবাসের ডেস্কে সেবা প্রদানকারী কর্মরত চার বাংলাদেশির করোনা পরীক্ষা করা হয়, চার জনেরই করোনা নেগেটিভ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *