শিরোনাম
বৃহঃ. ডিসে ৪, ২০২৫

মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে খাদ্য তালিকায় যা রাখবেন

প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, সঙ্গে বমি বমি ভাব কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব যন্ত্রণা, সঙ্গে জ্বর; এই উপসর্গগুলো মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে বেশ পরিচিত। একটানা বেশ কদিন থাকার কারণে এই যন্ত্রণা শরীর কাবু করে দেয়। এ দিকে, কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই, যা কমিয়ে দিতে পারবে মাইগ্রেন।

জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার অনেকটাই সাহায্য করতে পারে মাইগ্রেনের সঙ্গে লড়তে। এ নিয়ে ভারতীয় এক সংবাদমধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এমন কিছু খাবার আছে, যা মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়। তেমনই আবার কিছু খাবার মাইগ্রেনের আক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। হরমোন কিংবা স্নায়ুর সমস্যার কারণে দেখা দেয় এই রোগ।

মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কোন ধরনের খাবার ডায়েটে রাখবেন:

বাদাম

বাদামে থাকে ম্যাগনেশিয়াম। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের উপাদান। এই সব উপাদান মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ফলে কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে এই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নেয়াই যায়। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করা যেতেই পারে।

কলা

অনেক সময় খালি পেটে থাকলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করা মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া) হয়ে মাথা ধরে যেতে পারে। সেটাই মাইগ্রেনের ব্যথায় পরিণত হতে পারে। চটজলদি কী খেলে, এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়। এজন্য সেরা খাবার কলা। ম্যাগনেশিয়ামের ভরপুর এই ফল খেলে খুব দ্রুত এনার্জি পাবেন এবং মাইগ্রেনের সম্ভাবনাও কমবে।

তরমুজ

পানি বেশি খেলে মাইগ্রেন অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে এটা অনেকেরই জানা। তবে শরীর হাইড্রেটেড রাখতে শুধু পানি পানই যথেষ্ট নয়। সঙ্গে এমন খাবার খেতে হবে যাতে পানির পরিমাণ বেশি। তরমুজের মতো ফলে ৯২ শতাংশ পানি থাকে। তাই ক্ষুধা পেলে প্যাকেটের স্ন্যাকসবার না খেয়ে তরমুজ খান।

পানি

বহু শারীরিক সমস্যার সমাধানই করতে পারে পানি। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রেও সে কথা সত্যি। শরীরে পানির মাত্রা যথেষ্ট রাখা প্রয়োজন। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খেলে এই অসুখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

মাশরুম

অনেক সময় হজমের গন্ডগোল বা পেটের অন্য সমস্যা থেকে মাথা ধরতে পারে এবং সেটাই বেড়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। তাই মাশরুম, ডিম বা বাদামের মতো খাবার, যাতে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্ল্যাবিন রয়েছে; এসব রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এতে হজমশক্তি বাড়তে সাহায্য করবে। খাবার সময় মতো হজম হলে মাথা ধরার সমস্যাও কমে যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *