হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজার বাকি আর মাত্র ৭০ দিন। প্রতি বছরই এই সময় থেকে পূজার প্রস্তুতি শুরু করে দেন প্রবাসী বাঙালিরা। এই বছরেও কুমোরটুলি থেকে দুর্গা প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
আমেরিকা, জার্মানির মতো দেশগুলোতে মা দুর্গা পাড়ি দেন এই সময় থেকেই। কিন্তু এ বছর করোনানা আবহে সবকিছুই যেন বদলে গিয়েছে। এর আগে কখনও কলকাতা থেকে দুর্গাকে বিদেশে পাড়ি দিতে পাসপোর্ট লাগেনি। কিন্তু এবার দুর্গার ক্ষেত্রেও লাগছে পাসপোর্ট, প্রতিমার বিদেশযাত্রায় দিতে হচ্ছে পেস্ট কন্ট্রোলের জীবাণুনাশক সার্টিফিকেট।
কলকাতার অন্যতম মৃৎশিল্পী পাড়া কুমোরটুলি ঘুরে জানা গিয়েছে, বিদেশে যাওয়ার জন্য তৈরি দুর্গা প্রতিমা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। অন্যান্যবার শুধু মাত্র এখান থেকেই অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, আমেরিকা, কানাডা, ফিনল্যান্ডে যায় ৩০ থেকে ৩৫টা প্রতিমা। কিন্তু এবার করোনার জেরে অর্ডার অনেক আসলেও দুর্গা প্রতিমা বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। নিয়মকানুনের ক্ষেত্রে রয়েছে খুব কড়াকড়ি। দুর্গা প্রতিমা তৈরি হওয়ার পর সবদিকেই স্যানিটাইজার দিয়ে জীবানু মুক্ত করতে হচ্ছে। তাছাড়া যে প্যাকিং বাক্সে প্রতিমা পাঠানো হয়, সেই বাক্সগুলো পেস্ট কন্ট্রোলকে দিয়ে জীবানুনাশক করে তাদের দেওয়া সার্টিফিকেটও পাঠাতে হচ্ছে। তবেই প্রতিমাগুলো বিদেশে যাওয়ার ছাড়পত্র পাচ্ছে।
এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এক চালার পরিবর্তে পাঁচ চালার প্রতিমা পাঠানো হচ্ছে।
অন্যান্যবার বিদেশে যে প্রতিমা পাঠানো হয় তা ফাইবারে তৈরি এক চালার বাক্সে। কিন্তু এবার একেকটি চালায় আলাদা আলাদা করে প্যাকিং বাক্সের পাঠানো হচ্ছে প্রতিমা। ফলে বিমান ভাড়াও বড্ড বেশি পড়ছে। তাই মা দুর্গা এবার বিমানের বদলে জাহাজে চেপেই করোনা মুক্ত সার্টিফিকেট নিয়েই পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে।