আদালত ডেস্ক: ২০ বছর আগে (২০০৩ সালে) উচ্চ আদালত রিমান্ডের বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশনায় কোনো মামলায় আসামি গ্রেফতার এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ এবং রিমান্ডে নেয়ার বিষয়ে ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশ দেয়া হয়। এরই মধ্যে রিমান্ড ইস্যুতে বহু ঘটনার জন্ম দিলেও সংশোধিত হয়নি ফৌজদারি কার্যবিধির ২টি ধারা। যদিও সংবিধান অনুসারে সর্বোচ্চ আদালতের রায় বা নির্দেশনা প্রতিপালন সরকার কিংবা ব্যক্তি মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক। রিমান্ড ইস্যুতে সর্বশেষ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
আইনজ্ঞরাও বলছেন, প্রতিনিয়তই রিমান্ডের চরম অপব্যবহার হচ্ছে। একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই পারে রিমান্ডের অপব্যবহার বন্ধ করতে।
আইন পর্যালোচনায় দেখা যায, ‘রিমান্ড’ শব্দটি ফৌজদারি মামলায় আসামির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ২টি ধারায় ‘রিমান্ড’ শব্দের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু কার্যবিধির কোথাও ‘রিমান্ড’ শব্দটির সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। ধারা দু’টি হচ্ছে ১৬৭ ও ৩৪৪। ১৬৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার-পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তকার্য সমাপ্ত না হলে এবং ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ বিবেচিত হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিকটবর্তী আদালতের ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রিমান্ড চাইতে পারেন। এ রিমান্ড একসঙ্গে ১৫ দিনের বেশি হবে না।
৩৪৪ নম্বরে বলা হয়েছে, আসামির অপরাধ সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য পাওয়ার পর যদি প্রতীয়মান হয় রিমান্ডের মাধ্যমে অধিকতর সাক্ষ্যপ্রাপ্তি সম্ভব, সেক্ষেত্রে একটি মামলার তদন্ত বা বিচার চলাকালীন আদালত একসঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করতে পারেন।
১৬৭ ধারার অধীন রিমান্ডের ক্ষেত্রে পুলিশি হেফাজত থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। ৩৪৪ ধারার রিমান্ডের ক্ষেত্রে একজন আসামি বিচারিক হেফাজতে থাকাকালীন আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হয়। একজন আসামির আদালতের নির্দেশনায় কারাগারে অবস্থানকে ‘বিচারিক হেফাজত’ বলা হয়। ৩৪৪ ধারায় আদালত বলতে ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালতগুলোকে বোঝানো হয়েছে।
তবে রিমান্ডের বিষয়ে সাম্প্রতিক বাস্তবতা ভিন্ন। রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় এবং সেই জবানবন্দি মামলার বিচারে আসামির বিরুদ্ধেই ব্যবহার, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন, নারী আসামিদের ধর্ষণ এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে গত কয়েক দশক ধরে ‘রিমান্ড’ একটি বিতর্কিত বিষয়। উচ্চ আদালতে এটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ হয়েছে বহুবার। আদালত থেকে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও এখন রাজনীতিকদের ওপর রিমান্ডের ব্যাপক অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
প্রেক্ষাপট: ১৯৯৮ সালে মতিঝিল থানার পুলিশ হেফাজতে মারা যান ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র শামীম রেজা রুবেল। এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট’ (ব্লাস্ট) ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার এবং ১৬৭ ধারায় রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে। ওই রিটে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ৬ মাসের মধ্যে ফৌজদারি আইন সংশোধন করতে সরকারকে ১৫ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৫ মে ওই রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। হালের বাস্তবতা হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নানা অজুহাতে আসামিদের রিমান্ডে নিচ্ছে। নির্যাতন করছে। কখনওবা জোর করে আসামিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতেও বাধ্য করছে। এ নির্যাতনের ফলে অনেক সময় আটক ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। এসব বিচেনায় সুপ্রিম কোর্ট ১৫টি নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে রয়েছে : (১) আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে পারবে না। (২) কাউকে গ্রেফতার দেখানোর সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে। (৩) গ্রেফতারের কারণ একটি পৃথক নথিতে পুলিশকে লিখতে হবে। (৪) গ্রেফতারকৃতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলে তার কারণ লিখে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারি সনদ আনবে পুলিশ। (৫) গ্রেফতারের ৩ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের কারণ জানাতে হবে পুলিশকে। (৬) বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে যদি কাউকে আটক করা হয় তাহলে আটক ব্যক্তির নিকট আত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে হবে। (৭) আটক ব্যক্তিকে তার পছন্দসই আইনজীবী ও নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে। (৮) জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে কারাগারের কাঁচনির্মিত বিশেষ কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকটাত্মীয় থাকতে পারবেন। (৯) কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া না গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে সর্বোচ্চ ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে। (১০) জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ঐ ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করতে হবে। (১১) পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবেন। বোর্ড যদি বলে, ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে তাহলে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং তাকে দণ্ডবিধির ৩৩০ ধারায় অভিযুক্ত করা হবে। (১২) পুলিশ হেফাজতে বা কারাগারে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মারা গেলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে হবে। (১৩) পুলিশ বা কারা হেফাজতে কেউ মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে তা তদন্তের ব্যবস্থা করবেন। মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের বা তদন্তে যদি মনে হয়, ঐ ব্যক্তি কারা বা পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট মৃত ব্যক্তির আত্মীয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তা তদন্তের নির্দেশ দেবেন।
রাজনৈতিক অপব্যবহার: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে ‘নির্দেশনা’র জায়গায়। কিন্তু পুলিশি রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে প্রতিনিয়তই। এমনকি রিমান্ডের আগে থানা হাজতেও করা হচ্ছে নির্যাতন। এই নির্যাতন বহুমাত্রিকতা পেয়েছে হালের রাজনৈতিক ধরপাকড়ে। সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন, গত ২৮ ডিসেম্বর বিএনপি আহূত মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর তাদের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার চলছে। চলমান অরোধে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। পরপরই দায়ের হচ্ছে ‘অজ্ঞাতনামা আসামি’দের বিরুদ্ধে মামলা। সর্বশেষ তথ্য মতে, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে সারাদেশে ১৩২টি মামলা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর এবং এর আগে-পরে ১২ দিনে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ হাজার ৯২৯ জন নেতা-কর্মীকে। গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার করা হয় ৩৪৪ জনকে। গ্রেফতারের পর তাদের থানা হাজতে নির্যাতন করা হচ্ছে। অকথ্য নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে রিমান্ডে নিয়েও। গতকাল সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রূহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, নেতা-কর্মীদের আটক করে থানায় নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করার সময় সংঘটিত সংঘর্ষ ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় গ্রেফতারের পর গতকাল ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গতকালই কারাগারে পাঠানো হয় দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে। পল্টন থানার নাশকতার মামলায় গত ৩১ অক্টোবর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাস পোড়ানো ও ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেফতার করা হয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে। তাদের মধ্যে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই মামলায় শাহজাহান ওমরকে ৪ দিনের এবং প্রিন্সকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় রিমান্ড শেষ হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পুলিশের চরম দুর্ব্যবহার ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আদালতে ওঠালে মির্জা আব্বাস বলেন, আগে একবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমাকে গ্রেফতার করে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছিল। এবার আমাকে ফ্লোরে রাখা হচ্ছে। এবার তো হেঁটে আসছি। এর পরের বার হয়তো হুইল চেয়ারে আমাকে আসতে হবে। গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়।
মহাসমাবেশের আগে ২৬ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে। দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয় ১১ অক্টোবর। ঘরের দরজা ভেঙে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাকে পুলিশ নির্যাতন করেছেÑ মর্মে আদালতকে জানান। তাকেও পরে রিমান্ডে নেয়া হয়। দলটির মিডিয়া সেলের প্রধান জহিরউদ্দিন স্বপনকে গ্রেফতার করা হয় ২ নভেম্বর। নানা মামলায় বিরোধী নেতাদের গ্রেফতারের তালিকা প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে।
শায়েস্তা করার হাতিয়ার: গণগ্রেফতার এবং গ্রেফতার-পরবর্তী বিরোধী রাজনীতিকদের শাযেস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে রিমান্ড। এ মন্তব্য করেছেন ঢাকা বারের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, আমার কাছে এমন মামলাও আসছে যারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। স্রেফ গণগ্রেফতারের শিকার। অনেক নিরীহ ব্যক্তিকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে গ্রেফতার করছে পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার দেখানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। রিমান্ড থেকে বাঁচিয়ে দেয়ার কথা বলে অনেক পুলিশ সদস্য অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ‘আইনের শাসন’ এমন হতে পারে না।
এদিকে নির্বিচার রিমান্ডের বিষয়ে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, মামলায় বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে রিমান্ড দরকার হতে পারে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ৯৫ ভাগ মামলার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আসামির রিমান্ড চাইছে। আমরা জানি না রিমান্ডে আসামির সঙ্গে কি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ধারণা করা যায়, রিমান্ডে নিলে তদন্ত কর্মকর্তার জন্য বিশেষ কোনো সুবিধা মেলে। অনেক সময় ‘উপরের নির্দেশে’ও রিমান্ড হয়। এটি এখন একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রিমান্ডের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশনা আজকের রিমান্ড সেটির ধারেকাছেও নেই। এখন সুপ্রিম কোর্ট যদি মনে করে এভাবে আর রিমান্ড নিতে দেয়া যাবে নাÑ তাহলে আদালতই পারে এই প্রবণতা রোধ করতে। আদালত শক্ত অবস্থান নিলেই কেবল এটি বন্ধ হতে পারে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিকের মতে, রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও স্বীকারোক্তি আদায় করা সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশনা রয়েছে, সেটি প্রতিপালন করা উচিত। যদি পালন করা না হয়, সেটি অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তার মতে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকেই আইন ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশ প্রতিপালনের বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল নন। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি।