স্পোর্টস ডেস্ক: ফিলিস্তিনের পাশে থাকার বার্তা লেখা একটি জুতা পরে পার্থে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার উসমান খাজা। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের সমর্থন জানাতে গিয়ে বার বার আইসিসি’র বাধার সম্মুখীন হয়েছেন উসমান খাজা। পেয়েছেন নিষেধাজ্ঞার হুমকি। তবুও দমে যাননি অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার।
অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের চলমান টেস্ট সিরিজে একের পর এক অভিনব প্রতিবাদ জানানোর চেষ্টা চালিয়েছেন খাজা। তার এমন সাহসী প্রচেষ্টায় মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেস।
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ‘স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার এবং প্রতিটি জীবনের মূল্য সমান’ স্লোগান সম্বলিত জুতা ব্যবহারে বাধা পেলে পার্থ টেস্টে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলতে নামেন উসমান খাজা। এতেও আইসিসি বিরোধ করে। এরপর মেলবোর্ন টেস্টের আগে অনুশীলনে শান্তির প্রতীক পায়রা ছাপানো কেডস এবং ব্যাট ব্যবহার করেন খাজা। আইসিসির হুঁশিয়ারির মুখে এই পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করতে পারেননি তিনি। তবে প্রতিবাদী খাজা ভিন্ন উপায় বের করেন। মেলবোর্ন টেস্টে নিজের দুই মেয়ে আয়েশা ও আয়লার নাম জুতায় লিখে খেলতে নামেন।
শনিবার খাজার প্রশংসা করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেস বলেন, ‘আমি খাজাকে তার সাহসের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। তিনি মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সাহস দেখিয়েছেন। তার এমন কাজে দলের সমর্থন পাওয়াটা একটি দারুণ ব্যাপার।’
গাজায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে উসমান খাজা বলেন, ‘ইনস্টগ্রামে চোখ রাখলেই দেখি নিরীহ শিশুরা মারা যাচ্ছে, প্রচণ্ড রকম মানসিক আঘাত পাই আমি। কোনো উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে এসব করছি না। আমি শুধু চাই আমার মনের অবস্থাটা বোঝাতে, কী ঘটছে, তাতে আলোকপাত করতে।’
আইসিসি এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলো বলছে, আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন ভঙ্গের দায়ে খাজার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর নূন্যতম শাস্তি ভর্ৎসনা।

