আরাকান নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে ২৩তম ধাপে পৌঁছেছে আরও ২১৬৭ রোহিঙ্গা। এরমধ্যে ভাসানচর থেকে বেড়াতে যাওয়া ৬১৭ ও নতুন এক হাজার ৫৫০ রোহিঙ্গা রয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নৌবাহিনীর চারটি জাহাজযোগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছায়। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ৩৫ হাজার।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা পেঙ্গুইন, ডলফিন, টুনা ও বানৌজা তিমি যোগে ২১৬৭ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রোহিঙ্গাদেরকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
নৌবাহিনীর ভাসানচর ক্যাম্পের নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাজ্জাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (ভাসনচর) মো. মাহফুজার রহমান (উপ সচিব) বলেন, ভাসানচর সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের ধারণা দিতে গো অ্যান্ড সি ভিজিটের আওতায় যাওয়া ৬১৭ জনসহ মোট ২১৬৭ জন ভাসানচরে এসেছে। কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ আশ্রয় শিবির থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ভাসানচরে ৩৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, কক্সবাজার থেকে ভাসানচরের বিভিন্ন নিজস্ব ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।