কমিউনিটি নিউজ ডেস্ক: মেক্সিকোর কেরেতারো রাজ্যের স্বনামধন্য শিল্প জাদুঘরে ১১ মার্চ আট সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ইন ফ্রেমস’ শীর্ষক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কেরেতারোর সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রথম মাইলফলক উন্মোচিত হলো।
এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত প্রথমে মেক্সিকো সিটিস্থ রিফর্মার পাসেও দে লাস কালচারাল আমিগাস সড়কে অনুষ্ঠিত হয়। গত সেপ্টেম্বরে প্রদর্শনীটি মেক্সিকোর কোলিমা রাজ্যস্থিত কোলিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ক্যাম্পাসে প্রদর্শিত হয়। বর্তমানে প্রদর্শনীটির তৃতীয় পর্বটি কেরেতারো রাজ্যে আগামী ১২ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়নসহ জাতীয় উন্নয়নের অগ্রযাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৪১টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। প্রখ্যাত আলোকচিত্রী মুস্তাফিজ মামুন ও আব্দুল মোমিনের একাধিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে এক অনন্য মাত্রা যোগ করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাদুঘরের পরিচালক আন্তোনিও আরেইয়ে বারকুয়েত, কেরেতারো রাজ্যের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সরকারি উদ্ভাবনের সমন্বয়ক নুরী গঞ্জালেজ রিভাস এবং সাংস্কৃতিক সচিব মার্সেলা হারবার্ট পাস্কেরাসহ প্রায় ৩০ জন স্থানীয় অতিথিদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম প্রদর্শনীটির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরিচালক আন্তোনিও আরেইয়ে বারকুয়েত বলেন, এই প্রদর্শনীটির মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কেরেতারোর স্থানীয় সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হলো। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যেকার সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
কেরেতারো রাজ্যের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সমন্বয়ক নুরি গঞ্জালেস দূতাবাসের সকল উদ্যোগে তার সরকারের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যেকার সাংস্কৃতিক যোগাযোগের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
সাংস্কৃতিক সচিব মার্সেলা হারবার্ট পাস্কেরা রাষ্ট্রদূতকে এই উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং লেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি ও জীবন ব্যবস্থা দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অধিকতর উন্নয়নে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম কেরেতারোর স্থানীয় সরকার ও জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান যা দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধন শেষে রাষ্ট্রদূত ইসলাম আগতদের বর্ণনা সহকারে প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন সাংস্কৃতিক বিনিময়ে একটি স্বাদময় মাত্রা যোগ করে।