শিরোনাম
বৃহঃ. ডিসে ৪, ২০২৫

ঢাবির সিনেটে বেনজীরের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে। এর আগে ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) প্রোগ্রাম থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পান তিনি।

বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই প্রস্তাব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতিরও উপদেষ্টা সদস্য রঞ্জিত কুমার সাহা এবং সমর্থন করেন বিএনপি সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক ও সিনেট সদস্য এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। তবে এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল অধিবেশনে কোনো বক্তব্য দেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রণজিত কুমার সাহা বলেন, সেখানে ভর্তির জন্য স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হয়, শিক্ষাজীবনের সব পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। বেনজীরের তা ছিল না। শর্ত শিথিল করে তাকে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়েছিল।

অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যোগ্যতা ছিল না, তবুও ডিগ্রি পান বেনজীর আহমেদ। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে গর্ববোধ করি। কেননা, যে দল, যে মত আসুক না কেন ভর্তি প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম কোনো কারচুপি, স্বজনপ্রীতি বা অন্যায় হয় না বলে বিশ্বাস করি। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাকে যোগ্যতা না থাকা স্বত্বেও বেনজীর আহমেদের ক্ষেত্রে তাকে শিথিল করা হয়েছে, যেখানে বেনজীর আহমেদের এসসসি, এইচএসসি ও উচ্চমাধ্যমিক রেজাল্ট অনুযায়ী যোগ্যতা ছিল না।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিলে অবসরে যাওয়া পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদকে নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে বেনজীর ও তার স্বজনদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া এসব সম্পদ আদালতের আদেশে জব্দ হয়েছে। অবরুদ্ধ হয়েছে তাদের ব্যাংক হিসাব। তবে আদালতের আদেশ আসার আগেই স্বজনদের নিয়ে বেনজীর দেশ ছেড়েছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তারা দুর্নীতি দমন কমিশনে তলবে হাজিরও হননি। এর মধ্যে প্রকাশ পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতাই ছিল না, তবু ডক্টরেট ডিগ্রি পান বেনজীর আহমেদ।

তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) প্রোগ্রাম থেকে। সেখানে ভর্তির জন্য স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হয়। শিক্ষাজীবনের সব পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। বেনজীরের তা ছিল না। তবে ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান সাবেক আইজিপি। বেনজীর মোট ১ হাজার ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫১৭ বা ৪৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *