লণ্ডন, ১১ সেপ্টেম্বর- কারাগারগুলোতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বন্দিদের একটি বিরাট অংশকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ১৭৫০ জন বন্দিকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
গত ১০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ইংল্যাণ্ড ও ওয়েলসের জেল থেকে ১৭৫০ জন বন্দিকে ছেড়ে দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে হোম অফিস। মুক্তি পাওয়া আসামিদের সকলের সাজাই ছিল পাঁচ বছরের কম মেয়াদে। এছাড়া সংকট কাটতে আরও বন্দিদের ছেড়ে দেয়া হবে।
এদিকে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তে জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ, এসব কারামুক্তদের মধ্যে খুনী, ধর্ষক ও ছিনতাইকারীসহ অনেক ভয়ঙ্কর ক্রিমিনালও রয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে তাদের শাস্তির মেয়াদ পূর্ণ হবার আগেই তারা মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। সেদিক বিবেচনায় লেবার পার্টির এই বন্দী মুক্তিকে সাংঘাতিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন অনেকে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্রিটেনের সর্বশেষ বন্দির সংখ্যা ছিল ৮৮,৫২১ জন, যা ছিল ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক জেল কয়েদি। লেবার সরকার ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দিয়েছিলো যে, কিছু বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ছেড়ে দেয়া হয়েছে ১৭৫০ জনকে।
গত সপ্তাহে বিবিসির একজন সাংবাদিক ইংল্যাণ্ড ও ওয়েলসের কারাগারগুলোতে বন্দিদের অধিক সংখ্যক ভিড় ও তাঁদের নিম্নতর জীবন মান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে দেখা যায় অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে জেলগুলোতে মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় পতিত হচ্ছেন বন্দিরা। অনেকেই মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। নানা বিশৃখলার মধ্যে জীবন কাটানো বন্দিরা হিংস্র আচরণ করেছেন কারা রক্ষীদের সাথেও। বাসস্থান পরিবেশ জরাজীর্ণ ও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর এটিকেও আমলে নেয় সরকার, যার ফলশ্রুতিতে আজ মুক্তি দেয়া হয় দেড় হাজারের উপর বন্দিকে।