- নতুন কমিটি মূলত সব দফতরের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করবে। ১৬ জনের এই কমিটিতে থাকবে বিভিন্ন দফতরের সচিবেরা। কিছু উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাকেও সিনার্জি কমিটিতে রাখা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে সম্মেলন। তার পরই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো উদ্যোগী হল নবান্ন। তৈরি হল রাজ্য স্তরে শিল্পবিষয়ক সমন্বয় কমিটি বা সিনার্জি কমিটি। সেই কমিটির মাথায় থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এ ছাড়াও বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা থাকবেন কমিটিতে।
নতুন কমিটি মূলত সব দফতরের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করবে। ১৬ জনের এই কমিটিতে থাকবে বিভিন্ন দফতরের সচিবেরা। কিছু উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাকেও সিনার্জি কমিটিতে রাখা হয়েছে। শুধু রাজ্য স্তরে নয়, জেলা স্তরেও এ ধরনের কমিটি গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে। কমিটি গঠন নয়, কী ভাবে এই কমিটি কাজ করবে, তার আভাসও নবান্নের বিবৃতিতে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতি ১৪ দিন অন্তর কমিটির বৈঠক হবে। সেখানেই হবে কাজকর্ম সম্পর্কে যাবতীয় আলেচনা। কোথায় কী কাজ হচ্ছে, বর্তমানে প্রকল্পগুলোর কাজ শুররু হয়েছে, তা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে সব কিছুই উঠে আসবে কমিটির আলোচ্য বিষয়ে। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে, পর্যালোচনা বৈঠক করবে ওই কমিটি।
বিশ্ব সম্মলনের মঞ্চ থেকে যে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে তা কার্যকর করতেই কমিটি তৈরি করল নবান্ন। বিনিয়োগকারীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে দিকেও নজর থাকবে এই কমিটির। বিনিয়োগের প্রস্তাব এবং ব্যবসায়িক বিষয় সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের পরিষেবা এক ছাতার তলায় আনাই উদ্দেশ্য এই কমিটির। কেউ যদি বিনিয়োগ বা অন্য ক্ষেত্রে কোনও ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হন, তবে তাঁরা যাতে সহজেই সমাধান পান তা-ও নজর থাকবে। কেন্দ্রীয় ভাবে অর্থাৎ ‘সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম’-এর কাজ হবে। থাকছে অনলাইন সুবিধাও। বিনিয়োগের ছাড়পত্র পেতে আর বিনিয়োগকারীদের ঘুরতে হবে না দফতরে দফতরে। কমিটির মাধ্যমেই মিলবে সমাধানসূত্র।
এ বছর ছিল অষ্টম বিজিবিএস। বুধবার উদ্বোধনের আগেই সরকারকে নিশানা করেছিল বিজেপি, সিপিএমের মতো রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তাদের প্রশ্ন ছিল, এর আগেও বাণিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগ নিয়ে অনেক ‘গালভরা কথা’ শোনা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। বিজিবিএসের উদ্বোধনী বক্তৃতাতেই বিরোধীদের জবাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে নথি আছে। আমি নথি দেখিয়ে বলছি, বাংলায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।’’ তার পরই নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।