ইতিমধ্যেই ২ হাজার ৭৫টি গ্রাম জলের তলায়৷ ১২৬টি রিলিফ ক্যাম্পে ২২ হাজার ৩০০ বন্যা কবলিত মানুষ সব কিছু খুইয়ে আশ্রয় নিয়েছেন৷
অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে৷ ইতিমধ্যেই বন্যার জেরে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ অসমে ২২ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত৷ ২৭টি জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলের তলায়৷
ব্রহ্মপুত্র-সহ একাধিক নদীর জলই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে৷ অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি দেখে জানা, ভাঙন ঠেকাতে ব্রহ্মপুত্রের চরা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে৷
ইতিমধ্যেই ২ হাজার ৭৫টি গ্রাম জলের তলায়৷ ১২৬টি রিলিফ ক্যাম্পে ২২ হাজার ৩০০ বন্যা কবলিত মানুষ সব কিছু খুইয়ে আশ্রয় নিয়েছেন৷
১ লক্ষ ৩ হাজার হেক্টরের বেশি চাষের জমি বন্যার জেরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ ASDMA জানিয়েছে, শুধু ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, সোনিতপুর, উদলগুরি, দারাং, বক্সা, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, বঙ্গাইগাঁও, কোকরাঝাড়, ধুবরি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, মোরিগাঁও, নগাঁও, পশ্চিম কার্বি আংলং, গোলাঘাট, জোড়হাট, মাজুলি, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে৷
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বরপেটায়৷ সেখানে ৫.৪৪ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত৷ তারপরেই রয়েছে দক্ষিণ সালমারা ও ধেমাজি৷
জাতীয় বিপর্যয় মোবাবিলা বাহিনী, SDRF ও জেলা প্রশাসন, স্থানীয় মানুষ সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৫৪৮ জন মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়েছে৷