চার বছর আগে বজ্রপাতে একদিনেই ৩৫ জনকে হারিয়েছিল ওডিশা। জখম হয়েছিল আরও ৩৫ জন। সেই স্মৃতি ওডিশাবাসীর মন থেকে এখনও ফিকে হয়নি। ২০১৬-র পর ২০২০।
সোমবার ওডিশার বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে কমপক্ষে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক নাবালকও আছে।
এদিন কেন্দ্রাপাড়া জেলার মহাকালপাড়া পুলিশ সীমানার অন্তর্গত বড়ডাঙা গ্রামে বাজ পড়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সরোজ জেনা। সূত্রে খবর, মাঠে চাষের কাজ করছিলেন সরোজ। সেসময় বজ্রবিদ্যুত্-সহ বৃষ্টি নামলে, সুরক্ষিত জায়গায় সরে যাওয়ার সময় তিনি পাননি। বাজ পড়ে ঘটাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
একই দিনে ওডিশার জগত্সিংপুর, কেওনঝড় ও দেওঘর জেলায় বজ্রপাতে একজন করে আরও তিন জন মারা গিয়েছেন।
কটক জেলার টাঙ্গি এরিয়া ও ধেনকানাল সদরে ২ জন করে মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, নবরংপুর জেলায় মৃত্যু হয়েছে এক নাবালকের।
পুলিশ জানিয়েছে, নরসিংহ মাজি নামে ওই কিশোর পাপাদাহান্ডির মিরিগুড়া গ্রামে ক্রিকেট ম্যাচ দেখে, বাড়ি ফিরছিল। বিকেল ৩টে নাগাদ আকাশ ডেকে অঝোরে বৃষ্টি নামে। মাঝিগুড়া গ্রামের উপর দিয়ে ফেরার সময় বজ্রপাতে রাস্তার ধারে পড়ে যায় সে। বৃষ্টি ধরলে, গ্রামের লোকজন অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে পাপাদাহান্ডি কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। ডাক্তাররা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৬ সালের ৩১ জুলাই এই ওডিশাতেই ভয়াবহ বজ্রপাতে গোটা রাজ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহতের সংখ্যা ছিল আরও কমপক্ষে ৩৫ জন।
ওডিশা পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, সব থেকে বেশি ম়ৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ভদ্রক জেলায়। আট জন শুধু এই জেলাতেই মারা যান। এ ছাড়া বালেশ্বর, খুরদা, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, জাজপুর, কেন্দ্রাপাড়া, নয়াগড়ের মতো জেলাগুলিতে মৃতের সংখ্যা ছিল একাধিক। এর আগে বিহার ও উত্তরপ্রদেশও বজ্রপাতে একাধিক প্রাণহানি হয়েছে।