বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তমব্রু শূন্যরেখার কাছাকাছি ব্যাপক গুলিবর্ষণ করছে মিয়ানমার। এতে কোনারপাড়া শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা ভয়ের মধ্যে রয়েছে। মিয়ানমার বলছে, তারা নিজেদের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছিল। এ ঘটনায় সীমান্তে বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
শুক্রবার বেলা ৩ টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সীমান্তের শূন্যরেখায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় ঘটেছে। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা বলেছে, সেদেশে অভ্যান্তরে ৫’শ গজ ভেতরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি যৌথভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান চালিয়েছিল। সেই অভিযানের জন্য তারা গুলি চালায়।’
লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, ‘গুলিবর্ষণে শুরুতে শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা ভয়ে ছিল। পরে জানতে পারে ঘটনাটি সেদেশের ভেতরে হচ্ছে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে এবং সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় কোনারপাড়া এলাকার খালটি তমব্রু খাল হিসেবে পরিচিত। সেখানে ১ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পরিবারের ৫ হাজার সদস্য রয়েছে। তারা ২০১৭ সালে ২৪ আগস্টের পরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার পর সেখানে আটকা রয়েছে। তারা যাতে বাংলাদেশে ঢুকে পরে সেজন্য মিয়ানমার পক্ষ থেকে বার বার গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। পাশপাশি সীমান্তে কাঁটাতারের বেষ্টনির পাশঘেঁষে মিয়ানমার সেনাবাহিনী একটি সড়ক নির্মাণ করেছে। এটি তমব্রু থেকে বাইশ ফাঁড়ি পর্যন্ত চলে গেছে। এই সড়ক দিয়েই এখন প্রতিদিন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যানবাহন চলাচল করে থাকে।
শূন্যরেখার এক রোহিঙ্গা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে জিরো লাইনের কাছাকাছি মিয়ানমারে ব্যাপক গুলিবর্ষণ হয়েছে। প্রায় ঘণ্টাখানেক গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এতে রোহিঙ্গা শিবিরের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পরে। কেননা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা মাঝে মধ্যে রোহিঙ্গাদের ভয় দেখানোর জন্য গুলিবর্ষণ করে।
সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে নো-ম্যানস ল্যান্ডে গুলিবর্ষণের খবর পওয়া গেছে। তবে ঘটানাটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঘটেছে। ’