ইন্ডিয়ান ভিসা: ইন্ডিয়ার ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে তা জানতে পড়ে নিতে পারেন এই লেখাটি। এখানে কি কি লাগবে তা বলে দেওয়া আছে।ইন্ডিয়ার ভিসা পাওয়ার পর আপনার লাগবে ট্র্যাভেল ফি বা রোড ট্যাক্স পরিশোধ করা এবং পাসপোর্টে ডলার এনড্রোস করা।
ট্র্যাভেল ফি: ৫০০ টাকা। জমা দিতে হবে সোনালী ব্যাংকে। ট্র্যাভেল ফি বা রোড ট্র্যাক্স এর কোন মেয়াদ নেই। যতদিন ৫০০ টাকা থেকে এটা বাড়ছেনা ততদিন কাযর্কর থাকবে। তবে যাবার কিছুদিন আগে দিলে ভাল হয়। প্রতিবার যাবার আগে দিয়ে যেতে হবে। ব্যাংক থেকে দুই কপি দিবে ডকুমেন্ট। এক কপি আপনার আর আরেক কপি জমা দিয়ে যেতে হবে ইমিগ্রেশনে।
ডলার এনড্রোসমেন্ট: ১৫০ ডলার কমপক্ষে। যেকোন ব্যাংকের বা মানি এক্সচেন্জের দোকানে গিয়ে করে নিতে পারেন। ডলার সাথে রাখবেন চাইলে দেখাতে হবে।
ভ্রমনের উপযুক্ত সময়
সিজন: মার্চ থেকে নভেম্বর হল শিলং এ বেড়ানোর সিজন। এ সময় প্রচুর পযর্টক শিলং বেড়াতে যান।
অফ সিজন: ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী অফ সিজন। তখন প্রচুর ঠান্ডা থাকে। আর তাই তখন তেমন একটা পযর্টক সেখানে যায় না।
হোটেল পাওয়া কঠিন: জুন আর জুলাই মাসে ইন্ডিয়ার বেশির ভাগ রাজ্যের স্কুল বন্ধ থাকে। তখন প্রচুর পযর্টক আসে শিলং। হোটেলে সিট পাওয়া তাই দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাছাড়া তখন শিলং এ প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
যাওয়ার পূর্বে যা যা লক্ষ্য রাখতে হবে
আবহাওয়া: ডিসেম্বর-জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসে শিলং এ মারাত্মক ঠান্ডা থাকে। যাবার আগে তাই অবশ্যই জেনে নিবেন সেখানকার আবহাওয়ার অবস্থা।
উপলক্ষ: পূজা, ক্রিসমাস এইসবের ছুটিতে হোটেলে সিট পাওয়া দুষ্কর। ভাবছেন হিন্দুদেশ পূজার ছুটিতে সমস্যা কি? মেঘালয় খ্রিষ্টান অধ্যুষিত রাজ্য। পূজার ছুটিতে হিন্দুরা মেঘালয় তথা শিলং ঘুরতে আসে। তখন হোটেলগুলো ভাড়া যেমন বেড়ে যায় ঠিক তেমনি সিট পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাহলে ক্রিসমাসে কি সমস্যা? তখন খ্রিষ্টানরা বড়দিন পালন করে। রাস্তাঘাট বন্ধ থাকে বলা যায়।
যা যা সাথে নিবেন: অবশ্যই কিছু রুপী নিয়ে যাবেন দেশ থেকে। সাথে পাসপোর্টের ফটোকপি আর নিজের ছবি নিতে ভুলবেননা। বিপদে কাজে দিবে।
জুতা এবং পোষাক: টি-শার্ট, জ্যাকেট, মোবাইল পেন্ট, ভাল গ্রীপ ওয়ালা ট্র্যাভেলিং জুতা নিতে হবে আপনাকে। বেশিরভাগ ঝর্ণা দেখতে পাহাড় বেয়ে নিচে নামতে হয়। ভারী কাপড় পড়ে উঠার সময় খবর হয়ে যাবে নিশ্চিত।
পারফেক্ট কম্বিনেশন: ৪ জন হল পারফেক্ট। ছোট গাড়ি একটা রিজার্ভ করে নিতে পারবেন। নিচের ট্যুর প্ল্যান ফলো করলে জনপ্রতি ৫০০০ রুপী পড়বে।
সাথে ডলার নাকি টাকা নিবেন: বাংলাদেশে থেকে ডলার কিনবেন ৮২ টাকা করে। ইন্ডিয়া গিয়ে ভাঙ্গাবেন ৬২ রুপী করে। টাকা নিবেন রুপি পাবেন ৭৫ পয়সা করে। সিদ্ধান্ত আপনার কোনটি নিবেন। তবে টাকা নিলে ডাউকি বাজারে এক্সচেঞ্জ করবেন। শিলং এ এক্সচেঞ্চ করা কঠিন।
বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট দেখিয়ে ফরম নিবেন। তারপর সেটা পূরন করে পাসপোর্টসহ জমা দিবেন। নাম ধরে যখন ডাকবে তখন গিয়ে ছবি তুলে সাক্ষর (পাসপোর্ট অনুযায়ী) দিয়ে আসবেন। পাসপোর্ট যখন ফিরত দিবে তখন বাংলার বাবুদের ১০০ টাকা দিতে হবে। হোক সব নির্ভুল তারপরও দিতে হবে। একটু কথা বলা যাবেনা। কথা বললে ঝামেলা করবে। তারপর কাষ্টমস এ যাবেন। ওখানে গিয়ে পাসপোর্ট জমা দিয়ে সাক্ষর দিবেন। যদি সাথে করে ক্যামেরা (ডি.এস.এল.আর) বা কম্পিউটার নেন তবে তা অবশ্যই তাদেরকে বলবেন। নতুবা আসার সময় ঝামেলা করবে।
ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন অফিসাররা খুব ভাল। তারা এত কিছু দেখবে না। টাকা বা রুপিও চাইবেনা। শুধু পাসপোর্ট জমা দিবেন আর ফেরত নিবেন। কি কি নিচ্ছেন তা জানতে চাইবেনা এবং বলারও দরকার নাই। তারা জানে এখান থেকে নেওয়া মত তেমন কিছু নাই। ইন্ডিয়া থেকে ফেরত আসার সময়ও ঝামেলা করবেনা।
ডাউকি টু শিলং গাড়ি
ডাউকি থেকে শিলং দুই ভাবে যাওয়া যায়। এক গাড়ি রিজার্ভ করে। আর দুই লোকাল গাড়িতে। রিজার্ভ করে নিলে যে গাড়ি সিলেক্ট করবেন সেটা যেন অবশ্যই হয় হলুদ প্লেট নাম্বারওয়ালা। হলুদ প্লেট মানে হল সার্ভিস গাড়ি যারা সরকারকে ট্যাক্স দেয়। আর সাদা প্লেট মানে হচ্ছে প্রাইভেট। ড্রাইভারকে অবশ্যই বলবেন নিচের এরিয়াগুলো দেখিয়ে নিতে। উল্লেখ্য যে গাড়ি ইমিগ্রেশন পয়েন্টের ওখানে পাবেন। সবগুলো এরিয়া দেখানো পর ভাড়া পড়বে ২৫০০ রুপি।
যাবার সময় যা যা দেখবেন: ডাউকি ব্রিজ, ডাউকি ভিলেজ, ওয়াচ টাওয়ার, বড়হিল ফলস, ওয়ার্নক্রান ফলস, লিভিং রুট ব্রিজ, মওলীননোঙ্গ ভিলেজ।
আর লোকাল গাড়িতে ডাউকি টু শিলং গেলে বাসের ভাড়া পড়বে ১৬০ রুপি। আর সুমো গাড়ি হলে ২৮০ রুপি। উল্লেখ্য সুমো গাড়ি হল আমাদের জীপের মতো গাড়ি। লোকাল গাড়িতে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে ইমিগ্রেশন পয়েন্ট থেকে ডাউকি বাজারে যেতে হবে। প্রায় ২কি.মি যেতে গাড়ি রিজার্ভ করলে ১০০ রুপী ভাড়া পড়বে। চাইলে পায়ে হেটেও যেতে পারেন।
টিপস: প্রথমে আপনার ঘড়ির টাইম ঠিক করে নিন। ৩০ মিনিট পিছিয়ে দিন ঘড়িকে।
কথা বলবেন: সবাই বাংলা বুঝতে পারে সুতরাং বাংলায় কথা বলুন। পারলে হিন্দিও বলতে পারেন। আর যারা ইংরেজী জানেন তারা ইংরেজীও বলতে পারবেন। খাসিয়ারা হিন্দী বুঝেনা। তারা কেবল খাসি আর ইংরেজী জানে।
থাকবেন যেখানে
থাকবেন পুলিশ বাজার। বড় বাজারে খাসিয়ারা মদ খেয়ে ঝামেলা করে। হোটেলে উঠার আগে অবশ্য চেক করবেন ওয়াসরুমে পানি গরমের হিটার আছে কিনা।যদি না থাকে তবে ঠান্ডা সময় গোসল করতে পারবেননা। একদম প্রয়োজন না হলে কোন কিছু ধোয়ার দরকার নাই। ধুয়ে দিলে শুকানো কঠিন।
ডলার নিলে কোথায় ভাঙ্গাবেন?
জন পিয়ারে। সেন্টার পয়েন্ট হোটেলের নিচে।
খাওয়া-দাওয়া
সকালের নাস্তাটা পুলিশ বাজারের পুলিশ বক্সের সামনে থেকে করে নিবেন। দুপুরের খাবার সুরুচী হোটেলে খাবেন ঘুরে এসে। আর রাতের খাবারটা একই রেস্টুরেন্টে সেরে নিবেন। তবে রাত ৮টার আগে খেয়ে নিবেন। কেননা ওখানের সবকিছু রাত ৮টায় বন্ধ হয়ে যায়।
সকালের নাস্তা: পুলিশ বাজারের পুলিশ বক্সের সামনের থেকে করে নিন। খরচ কম পড়বে।
দুপুর আর রাতের খাবার: মুসলিম হোটেলে খেতে চাইলে হোটেল সাভেরা তে খেতে পারেন। অ্যাড্রেস:
Hotel Savera
Thana Road (Police Bazar) Near Masjid,
তবে বলে রাখা ভাল সেখানে কম টাকা খেতে পারলেও খাবারগুলো টেষ্টি নয়। যদি বাংলাদেশের পানসী/পাচঁভাইয়ের মত রেস্টুরেন্টে খেতে চান তবে আপনাকে যেতে হবে হোটেল সুরুচী তে। অ্যাড্রেস:
Hotel Suruchi
MTC Building, Jail Road, Shillong
স্পেশাল খাবার?
১. মমোস
২. জিলাপী
৩. কলা
৪. পুরি সবজি
যা খাবেন না?
১. স্যুপ (ওরা কাঁচা খায়) খাবেননা। মজা পাবেননা।
২. মাংস তৈরী কোন আইটেম হলে অবশ্যই জেনে নিবেন এটা কি মাংস দিয়ে তৈরী। যেহেতু অধিকাংশ খিষ্ট্রান তাই বেশির ভাগ মাংসের আইটেম শুকরের মাংস দিয়ে তৈরী হয়। পারলে মাংসের আইটেম এড়িয়ে চলুন।
৩. চা-কফি। কাপের সাইজ আমাদের ওষুধের কোটার মত। দামটাও বেশ চড়া। আর স্বাদ সেটা জঘন্য।
৪. জাম, আনারস, চানাচুর বাজারে যা সহজে পাবেন। কিনে টেষ্ট করতে যাবেনন। স্বাদ জঘন্য।
ক্রিং ক্রিং শপিং শপিং
পুলিশ বাজারে বিশাল শপিং মলে শপিং করতে পারেন। নতুবা বড় বাজার। তবে মাথায় রাখবেন বড় বাজারে শপিং করলে অবশ্যই সন্ধা ৫টার আগে ফিরে আসবেন সেখান থেকে। আর শপিং করার পর অবশ্যই রিসিট রাখবেন।
কি কি কিনবেন?
১. জামা কাপড়
২. জুতা
৩. বাশের তৈরী আইটেম
৪. ইলেকট্রনিক পন্য
৫. কসমেটিকস আইটেম
৬. চকলেক, বিষ্কিটঅত:পর ঘুরাঘুরি
সকাল ৬ বা ৬.৩০ এ রুম থেকে বেরিয়ে পড়ুন। তারপর পুলিশ বাজার পুলিশ বক্সের সামনে নাস্তা সেরে বেড়িয়ে পড়ুন ঘুরতে। কেন সকাল বের হবেন? দুইটা কারন। এক সকালে সবকিছু ক্লিয়ার দেখবেন। মেঘ তেমন থাকবেনা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেঘ বাড়বে। দুই বিকাল ৩টার আগে ফিরবেন। কেন ফিরবেন? তাহলে শপিং করতে পারবেন।
বেড়ানোর জন্য কোথা হতে গাড়ি রিজার্ভ করতে হবে?
বেড়ানোর জন্য গাড়ি রিজার্ভ করতে হলে আপনাকে সেটা করতে হবে পুলিশ বাজারে পুলিশ বক্সের সামনে থেকে। গাড়ি রিজার্ভ করার আগে কি কি দেখবেন সবকিছু ঠিক করে নিবেন।
ড্রাইভার: আলিম মজুমদার। রেফারেন্স হিসাবে আমার নাম (ইমরান সিলেট) বলতে পারেন।
মোবাইল নাম্বার: +91948516439 (whatsaap) +919863020472 (personal number)
উল্লেখ্য তিনি কমিশনভোগী পচন্দ করেননা। তাই সাধু সাবধান।
ট্যুর প্ল্যান
১ম দিন
যাবার সময় দেখে নিবেন (যদি রিজার্ভ গাড়িতে যান) : ডাউকি ব্রিজ, ডাউকি ভিলেজ, ওয়াচ টাওয়ার, বড়হিল ফলস, ওয়ার্নক্রান ফলস, লিভিং রুট ব্রিজ, মওলীননোঙ্গ ভিলেজ।
খরচ পড়বে: ২৫০০ রুপী।
২য় দিন
গাড়ি রিজার্ভ করলে দেখতে যাবেন: নুকায়কালী ফসল, মৌসুমী কেইভ, সেভেন সিষ্টার, ওয়াকাভা ফলস।
খরচ পড়বে: ১৮০০ রুপী।
৩য় দিন
গাড়ি রিজার্ভ করলে দেখতে যাবেন: সুইট ফলস, লাইটলুম, লেডি হায়দোরী পার্ক, ওয়ার্ডস লেক, অল সেন্টস চার্চ, রাজার বাড়ি, বড় পানির লেক/অর্কিড লেক/উমিয়াম লেক।
খরচ পড়বে: ৩০০০ রুপী।
৪র্থ দিন
বাংলাদেশ আসার সময় দেখে নিবেন: এলিফেন্ট ফলস, সংপেডেং ভিলেজ, কারেনসুরি ফলস।
খরচ পড়বে: ৩০০০ রুপী।কম টাকায় শিলং ট্যুর
সিলেট সোবহানীঘাট টু তামাবিল: ৫৫ টাকা বাস ভাড়া জনপ্রতি
ইমিগ্রেশন অফিস টু ডাউকি বাজার: ৫০ টাকা (২জন হলে জনপ্রতি)
ডাউকি বাজার থেকে শিলং: সুমো গাড়ি হলে ২২০ টাকা। আর বাস হলে ১৮০ টাকা জনপ্রতি।
শিলং হোটেল খরচ: ৫০০ টাকা জনপ্রতি (কমদামী হোটেল)
খাওয়া: মুসলিম রেস্টুরেন্ট জনপ্রতি ৬০ টাকা প্রতিবেলা।
বেড়ানো: কম টাকায় বেড়ানোর ব্যাবস্থা করে রেখে মেঘালয় টুরিজম। দেখে নিন তাদের অফারগুলো।
Shillong: The Tour covers the following places of tourist interest:
Elephant Falls, Shillong Peak, Lady Hydari Park, Laitumkhrah Cathedral, Wards Lake, Golf Course, State Museum.
Tour Fares:
Delux Video Coach: Rs. 100/- per Person
Sumo/Mini Delux Coach: Rs. 120/- per Person
Tourist Cab: Rs. 175/- per Person.
Shillong-Barapani: The Tour covers the following places of tourist interest:
Elephant Falls, Shillong Peak, Lady Hydari Park, Laitumkhrah Cathedral, Wards Lake, Golf Course, State Museum, Bishop Beadon Falls, Barapani Lake.
Tour Fares:
Delux Video Coach: Rs. 150/- per Person
Sumo/Mini Delux Coach: Rs. 175/- per Person
Tourist Cab: Rs. 200/- per Person.
Sohra (Cherrapunjee): The Tour covers the following places of tourist interest:
Mawkdok Valley, Ramkrishna Mission, Nohkalikai Falls. Mawsmai Caves, Eco Park, Nohsngithiang Falls, Thangkharang Park, Motrop (Giant conical rock).
Tour Fares:
Delux Video Coach: Rs. 200/- per Person
Sumo/Mini Delux Coach: Rs. 230/- per Person
Tourist Cab: Rs. 375/- per Person.
Mawsynram : The Tour covers the following places of tourist interest:
Mawjyngbuin Cave, Khreng Khreng (Cracked rock), Rit Mawksir (view point), Jakrem (Hotwater Spring).
Tour Fares:
Delux Video Coach: Rs. 240/- per Person
Sumo/Mini Delux Coach : Rs. 260/- per Person
Tourist Cab:Rs.500/-per Person.
Nartiang: The Tour covers the following places of tourist interest:
Durga Mandir, Shiv Mandir. Monolith Park, Thadlaskein Lake, Thadlaskein Resort.
Tour Fares:
Delux Video Coach: Rs. 210/- per Person
Sumo/Mini Delux Coach : Rs. 250/- per Person
Tourist Cab: Rs. 500/-per Person.
For more details contact – Tourist Information Centre, MTDC Ltd., Police Bazar Ph. No: 0364-2226220.
or visit: http://megtourism.gov.in/packagetours.html
আরো যা জানা দরকার
১. ওখানকার মানুষ হেল্পফুল নয়।
২. কোন কিছু কিনলে ব্যাগের জন্য আলাদা চার্জ রাখে।
৩. সাথে সব সময় একটা পলিথিন রাখবেন। বৃষ্টি কখন আসবে ঠিক নাই।
৪. খাসিয়া আর বৃষ্টিকে বিশ্বাস করতে নাই।
৫. সহজে সীম কিনতে পারবেননা।
৬. মাংসের তৈরী আইটেমগুলো এড়িয়ে চলবেন।
৭. মদ পাবেন সবত্র। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন।
৮. খাসিয়ারা গরুর মাংস খায় তাই গরুর মাংস সবখানে পাবেন।
৯. ওখানকার সমাজ মাতৃকেন্দ্রিক। দোকানগুলো তে খাসিয়া পুরুষের চেয়ে নারী বেশি দেখতে পাবেন। নারীদের সম্মান করুন।
১০. শিলং এ কোন রিক্সা পাবেননা।
১১. পাহাড়ের গাড়ি নিয়ে উঠার সময় সমস্যা হবেনা কিন্তু নামার সময় কানে তালা লেগে যাবে।
১২. সাথে সব সময় পাসপোর্ট রাখবেন। যেকোন সময় পুলিশ ঝামেলা করতে পারে।
১৩. হোটেলে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে গাড়ি চাইবেননা। তাহলে বেশি রুপি খরচ হবে। ওরা কমিশন নিবে।
১৪. শিলং পৌছে ড্রাইভারকে ছেড়ে দিবেন। তাকে নিয়ে হোটেল খুজতে যাবেননা। গেলে ওর কমিশন রেখে ভাড়া বলবে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
১৫. গাড়ি রিজার্ভ করে নিলে ড্রাইভার যদি ভাল না হয় তবে অর্ধেক পথে গিয়ে বলবে এটা ওই স্থান। বেশিরভাগ ড্রাইভারই খারাপ।
১৬. ফুটপাত থেকে কিছু কিনলে যা দাম বলবে তার অর্ধেক বলবেন।
১৭. রবিবার তাদের সাপ্তাহিক ছুটি সব কিছু বন্ধ থাকে হোটেল, রেস্টুরেন্ট আর ওষুদের দোকান ছাড়া।
১৮. সাথে সব সময় পানি আর টিসু রাখবেন।
১৯. যারা শ্যামলীতে শিলং যাবেন তারা ভুলেও শ্যামলির ড্রাইভার রা ওদের কারো কথামত হোটেলে উঠবেননা। কিংবা তাদের কাছে গাড়ি রিজার্ভ করার কথা বলবেননা। ওখানে তারা কমিশন নিয়ে থাকে।
২০. মধু কিনতে চাইলে নোয়াখালি ফলসের ওখান থেকে কিনতে পারবেন আসল মধু।
২১. এই ডকুমেন্টটা অবশ্যই প্রিন্ট করে নিয়ে যাবেন। শিলং গিয়ে আপনি যেহেতু সীম কিনতে পারছেনা তাই হোটেলে উঠার আগে কাজে লাগবে। তাছাড়া হোটেলে ওয়াফাই নাও থাকতে পারে।
শিখতে পারেন খাসিয়া ভাষা
কার্টেন = নাম কি?
কুমনি = কেমন আছেন?
কুবলাই = ধন্যবাদ।