গুয়াহাটি : অতিমারি করোনা সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে গত মার্চ মাস থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। ফলে ছাত্রছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের সব স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। এ প্ৰসঙ্গে রাজ্য সরকার একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে। নির্দেশিকায় ছাত্ৰছাত্ৰী এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কোভিড-১৯-এর সমস্ত নিয়মনীতি মেনে চলতে বলা হয়েছে। তবে যে সব ছাত্ৰছাত্ৰীদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, টাইপ-টু ডায়বেটিস, হৃদযন্ত্ৰের অস্ত্ৰপচার হয়েছে, ক্যানসারে আক্ৰান্ত, সেই সব ছাত্ৰছাত্ৰীদের স্কুলে গিয়ে শিক্ষাগ্ৰহণ করতে হবে না, এ ক্ষেত্ৰে তাদের রেহাই দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৫ দিনের জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দেশিকা লাগু থাকবে। তার পর পরিস্থিত বিবেচনা করে নির্দেশিকায় যা যা সংস্কারের প্ৰয়োজন হবে সমস্ত করা হবে। নবম এবং দশম শ্ৰেণির জন্য সোম, বুধ এবং শুক্ৰবার পাঠদান হবে। দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্ৰেণির পাঠদান হবে মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিবার। প্ৰত্যেকটি শ্ৰেণির ছাত্ৰছাত্ৰীদের আলাদা করে দুটো ভাগে ভাগ করে পাঠদান করা হবে। তবে ছাত্ৰছাত্ৰীর সংখ্যা ২০ জনের কম হলে তাদের বিভক্ত করা হবে না। প্ৰথম দলের ছাত্ৰছাত্ৰীদের সকাল ৯-টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ক্লাস চলবে। দ্বিতীয় দলে চলবে বেলা ১-টা থেকে বিকেল ৪-টে অবধি। তবে স্কুলে ছাত্ৰছাত্ৰীদেরকে অভিভাবকদের কাছ থেকে আপত্তিবিহীন প্ৰমাণপত্ৰ সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। স্কুলে পাঠদান প্ৰক্ৰিয়া ৫০ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষিকাকে দিয়ে করতে হবে।
এছাড়া সকলের মুখে মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ অথবা সাবান দিয়ে ধুতে হবে। যেখানে সেখানে থুতু ফেলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সম্ভব হলে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। রিংকি / এসকেডি