কলকাতা: চা পাতার সুন্দর ঘ্রাণের সঙ্গে ঠোঁট পাবে পেয়ালা। চুমুকে তুফান তোলা অনুভূতি মস্তিষ্কে বার্তা পৌঁছে দেবে তুলসী হাজির। আসলে তুলসীগাছের কচি নরম টুকরো পাতার মিশেলে অপূর্ব চা তৈরির রেসিপি বছর খানেক আগেই এসেছিল আমহার্স্ট স্ট্রিট লাগোয়া সুবল লেনে। তবে তখন না ছিল করোনা না ছিল লকডাউন শব্দের বাস্তবিক প্রয়োগ। এক বছর আগের সেই তুলসী চা রেসিপি এখন ‘সুপারহিট’ করোনা উত্তর নিউ নর্মালে।
প্রথমে তুলসীপাতা বেশ কিছুক্ষণ জলে ফেলে রেখে তা জীবাণু মুক্ত করে নেওয়া। তারপর জল ঝরিয়ে তুলসীপাতা টুকরো টুকরো করে কেটে নেওয়া। কাপে পরিমাণমতো তুলসীপাতা নিয়ে তাতে ফোটানো গরম জল অল্প দিয়ে দেওয়া। বাকি পাত্রের গরম জলে চা পাতা ভিজিয়ে তৈরি করে রাখা লিকার। এবার চা লিকার তুলসীপাতা জলে ঢেলে তাতে পরিমানমত চিনি সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করা। এই রেসিপির তুলসী চা এখন হট কেক।
তুলসী চা সাধারণের সামনে আনা চন্দন দাসে’র কথায়, ” এখন দিনে ৮০-১০০ কাপ তুলসী চা বানাই। করোনায় প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে তুলসীপাতা। এছাড়া ঠান্ডা লাগা, সর্দিকাশি, গলা সতেজ রাখতে ক্রেতারা এই চা খেতে চান।”
ক্রেতারাও ৫ টাকায় এমন চা পেয়ে খুশি। স্থানীয় বাসিন্দা শমীক ভট্টাচার্য জানান, ” চন্দন দার চা দীর্ঘদিন ধরেই খাই আমরা। দুধ চা’ও বেশ সুন্দর বানান।”
চন্দন দাস ১৯৯১ সাল থেকে চা বানিয়ে আসছেন। ২৯ বছরে আমহার্স্ট স্ট্রিটের অনেক কিছুই বদলে গেছে। তবে বদলায় নি চা’এর স্বাদ। করোনায় উপরি পাাওয়া তুলসী চা। এলাচ ও কফি সহকারে চন্দনের দুধ চা বেশ সমাদৃত এলাকায়। তবে করোনা আবহে দুধ চা বিক্রি কমেছে অর্ধেকের বেশি। সেই জায়গায় নিউ নর্ম্যালে দেবদূত হয়ে সুবল লেনে হাজির তুলসী চা। গরম গরম তুলসী চা তৃপ্তির সঙ্গে রিচার্জ করে দিচ্ছে আত্মবিশ্বাস। যে আত্মবিশ্বাসের ডানায় ভর করে ইমিউনিটি লাভের পথ খোঁজে সবাই।





