অমর সাহা, কলকাতা: করোনা এখনো ছেড়ে যায়নি পশ্চিমবঙ্গকে। তবে বাড়ছে এই রাজ্যে সুস্থতার হার। আর গতকাল শনিবার ছিল এই সুস্থতার হার বাড়ার এ যাবৎকালের রেকর্ড। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে সংক্রমণের থেকে সুস্থতার হার ছিল বেশি।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের গতকাল বিকেলে প্রকাশিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৫৬২ জন। সুস্থতার হার ৫৮ দশমিক ১২ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে দেখা গেছে, এই রাজ্যে প্রতিদিনই সুস্থতার হার বাড়ছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এই রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৮৬৫ জন। আর এতে করে এই রাজ্যের চিকিৎসকদের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসা শুরু হয়েছে।
এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৩১ জন। আর মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৫৪০ জন। গতকাল অবশ্য মারা গেছেন ১১ জন। করোনা রোগী চিহ্নিত করা এবং নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর বাড়িয়ে দিয়েছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। গতকালই পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৩৩০টি নমুনার। আর এখন পর্যন্ত এই রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২টি। আর এই নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, সেই অর্থে এই রাজ্যে শনাক্তের হার সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। গতকাল এই রাজ্যে ৪৪১ জন করোনায় সংক্রমিত হলেও কলকাতায় এই সংখ্যা ছিল ১২৭ জন। এখন এই রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি নমুনা পরীক্ষা করার ল্যাবের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৯।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, এই রাজ্যে ৫৪০ জন মৃত ব্যক্তির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা মহানগরী। এই মৃতের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা মহানগরীর ৩২৩ জন। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর চব্বিশ পরগনা। মৃতের সংখ্যা ৮০ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া । মৃতের সংখ্যা ৭২ জন। এরপর রয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (২১), হুগলি (১৭), দার্জিলিং ও নদীয়া (৫ জন করে), মুর্শিদাবাদ (৩), পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর (৩ জন করে)। আর দুজন করে মারা গেছেন পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলায়। আর একজন মারা গেছেন কালিম্পংয়ে। আর মারা যায়নি এখন পর্যন্ত আলীপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদহ, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব বর্ধমান জেলায়। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ২৩ জেলা। করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ১৩টি জেলায়। রাজ্যের ১০ জেলায় কেউ মারা যাননি।