নিজেদের অবস্থানে অনড় দেখাচ্ছে কোয়েসকে।
কোয়েসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বনাম স্পনসর দ্বন্দ্ব এখনও থামার লক্ষণ নেই। যদিও এবার কোয়েসের সঙ্গে ক্লাব কর্তৃপক্ষের নয়, বিবাদ বাঁধল সরাসরি ফুটবলারদের।
করোনা মহামারির জেরে অবশ্যিক ভিত্তিতে ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করেছে কোয়েস। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করেছিল কোয়েসই। সুতরাং খেলোয়াড়দের সরাসরি পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা তাদেরই। অথচ হঠাৎই কোয়েসের তরফে ফুটবলারদের জানিয়ে দেওয়া হয়, মে মাসের বেতন দেওয়া হবে না তাঁদের।
যদিও এপ্রিলের বেতনও হাতে পাননি লাল-হলুদ ফুটবলাররা। সেটা বোঝা যায় বেশ কিছু ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন মারফৎ দু’মাসের বকেয়া বেতন চেয়ে কোয়েসকে চিঠি পাঠানোয়।
অভিষেক আম্বেকর, পিন্টু মাহাতার মতো বেশ কিছু ভারতীয় ফুটবলারের সঙ্গে এক বা একাধিক বছরের চুক্তি বাকি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। বিদেশী ফুটবলারদের মধ্যে জেমি স্যান্টোসের সঙ্গেও দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ছিল ক্লাবের। তাঁরাই এপ্রিল ও মে মাসের বেতন দাবি করে চিঠি পাঠিয়েছেন কোয়েসকে।
ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, এক বা একাধিক বছরের চুক্তি বাকি থাকা ভারতীয় ফুটবলাররা তাদের মাধ্যমে কোয়েসকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী বেতন না পাওয়ায় ফুটবলাররা চুক্তি ছিন্ন করে অন্য ক্লাবে যোগ দিতে পারেন এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। এও শোনা যাচ্ছে যে, স্প্যানিশ ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে কোয়েসকে চিঠি পাঠিয়েছেন স্যান্টোসও।
কোয়েস চিঠির জবাবে বাধ্যতামূলক শর্তের কথা উল্লেখ করে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছ, কোয়েস জবাব দিয়ে দেওয়ায় ফুটবলারর ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির দ্বারস্থ হতে পারেন এখনই। তবে তারা ফুটবলারদের ১৪ দিন অপেক্ষা করার পরমার্শ দিয়েছে।